করাচি: বিশ্ব ক্রিকেটের আঙিনায় যাঁদের বোলিংয়ে গতি মুগ্ধ করেছে দর্শকদের, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার। তাঁর কেরিয়ারে তিনি খেলেছেন বেশ কয়েকজন কিংবদন্তী বোলারদের সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ওয়াসিম আক্রম। শোয়েব তাঁর প্রাক্তন অধিনায়কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনি বলেছেন, কঠিন পরিস্থিতি ওয়াসিম আক্রম যেভাবে একের পর এক ম্যাচে পাকিস্তানকে জিতিয়েছেন, তা দেখা দারুণ একটা ব্যাপার।
গতির আগুনে বিপক্ষের বোলারদের নাজেহাল করে তুলতেন শোয়েব আখতার। হাই আর্ম বোলিং অ্যাকশনের কারণে উইকেট থেকে আরও বেশি পেশ ও বাউন্স আদায় করে নিতে পারতেন তিনি। ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম ডেলিভারির রেকর্ড এখনও রয়েছে তাঁরই দখলে।
পাকিস্তানের স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে শোয়েব আখতার বলেছেন, ৯০-এর দশক থেকে তিনি সেইসব ম্যাচ দেখেছেন, যেগুলিতে ওয়াসিম আক্রম প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করে পাকিস্তানকে জিতিয়ে দিয়েছেন। একইসঙ্গে ৪৪ বছরের পেসার বলেছেন, যদি তাঁকে প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কথা বলতেন, তাহলে হয়ত খুনই করে ফেলতেন। যদিও সুইং সুলতানের কাছ থেকে তিনি কখনও এ ধরনের প্রস্তাবের কথা শোনেননি বলে জানিয়েছেন রওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস।
শোয়েব আখতার বলেছেন, ১৯৯০-র কিছু ম্যাচ দেখছিলাম। যেখানে কঠিন পরিস্থিতিতে দুরন্ত বোলিংয়ে কীভাবে পাকিস্তানকে জিতিয়েছেন আক্রম। আমি বলব যে, ওয়াসিম আক্রম যহি আমাকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে কথা বলতেন, তাহলে আমি তাঁকে ধ্বংস করে দিতাম বা মেরেও ফেলতাম। কিন্তু তিনি কখনও আমাকে এ ধরনের কথা বলেননি।
শোয়েব আখতার বলেছেন, তিনি আক্রমের সঙ্গে সাত-আট বছর খেলেছেন। এমন অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে, যখন খারাপ পারফরম্যান্সের পরও তাঁর হয়ে সওয়াল করেছিলেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক। কিন্তু তিনি তখন আক্রমের এই মহান আচরণের প্রশংসা করেননি। আর তাঁর সোনালী কিছু ম্যাচ দেখার পর এ জন্য আক্রমকে ফোন করে ক্ষমা চেয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন শোয়েব আখতার।