কলকাতা: ১২ বছর পর ভারতসেরা হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। কলিঙ্গ সুপার কাপে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। এবার টিম ইস্টবেঙ্গলকে শুভেচ্ছা জানালেন ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ইগর স্তিমাচ। 


নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছাবার্তায় স্তিমাচ বলেন, "ইস্টবেঙ্গল দলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা হৃদয়ের অন্তর থেকে। ১২ বছর অনেকটা সময়। আমি ভীষণ খুশি ওঁদের জন্য। এই সেলিব্রেশন ওদের প্রাপ্য।" উল্লেখ্য, লাল হলুদ জার্সিধারী ক্লাবটি শেষবার ২০১২ সালে ফেডারেশন কাপ জিতেছিল। এরপর থেকে আর একবারও জাতীয় পর্যায়ে কোনও ট্রফি জিততে পারেনি। 


 






এদিকে, সোমবার বিকেলেই কলকাতায় এল লাল-হলুদ শিবিরের ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফেরা। বিমানবন্দর থেকে নন্দ-ক্লেটনরা বেরিয়ে আসতেই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা গেল সোমবার। আনন্দ-উল্লাসে ভাসলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। 


এমন অসাধারণ ও রুদ্ধশ্বাস জয়ের পরে সম্প্রচারকারী সংস্থা ‘জিও সিনেমা’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাল-হলুদ অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা বলেন, “এই জয় শুধু আমার নয়, পুরো দলের। ম্যাচের একেবারে শেষে আমরা গোল খেয়ে যাই। তবু হাল ছাড়িনি। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি আমরা। টানা পাঁচটা ম্যাচেই ভাল খেলেছি আমরা। তাই খুবই ভাল লাগছে। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মোহনবাগানের কাছে হারার যন্ত্রণা এতদিনে কিছুটা হলেও ভুলতে পারলাম”।


ইস্টবেঙ্গলের তরফে রবিবার রাতেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটেয় ভুবনেশ্বর থেকে বিমান মাটি ছোঁবে। সমাজমাধ্যমে দাবানলের মতো সে কথা ছড়িয়েও গিয়েছিল। কিন্তু ১২ বছর পর জাতীয় পর্যায়ের ট্রফি জেতা লাল-হলুদ জনতার উচ্ছ্বাস বাঁধ মানলে তো! বিমান নামার তিন ঘণ্টা আগে থেকেই বিমানবন্দরে মানুষের ভিড় শুরু। যত সময় এগোল, তত সমর্থকদের সংখ্যা বাড়ল। সঙ্গে নাচ, গান, ‘জয় ইস্টবেঙ্গল’ স্লোগান তো রয়েছেই।


পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বুঝে দেরি করেননি বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীরা। গেটের সামনে সিআরপিএফ বাহিনী এসে আগেই ব্যারিকেড করে দিয়েছিল। তবে গান, নাচে তাতে ভাটা পড়েনি। ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক দল ‘আলট্রাস’ হাজির হয় ঢোল, কাঁসর নিয়ে। ঢোল বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলল নাচ। বিমানবন্দরের যাত্রীরাও দাঁড়িয়ে পড়ে ছবি তুলতে লাগলেন।