ছোটবেলা থেকেই ভাইপোকে খেলার বিষয়ে সাহায্য করে আসছেন ইনজামাম। বাবাকেও সবসময় পাশে পেয়েছেন ইমাম। তাঁর মায়ের খেলার বিষয়ে আপত্তি ছিল। কিন্তু বাবা স্কুল কামাই করে খেলতে যেতে সাহায্য করতেন। ২০১৪ সালে জুনিয়র বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হয়ে ভাল পারফরম্যান্স দেখান ইমাম। এ বছর বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব-২৩ ইমার্জিং কাপে দু’টি শতরান করার সুবাদেই সিনিয়র দলে সুযোগ পেয়েছেন ২২ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। সুযোগ পেয়েই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ইনজামামের চেহারা ও মুখের সঙ্গে যেমন মিল রয়েছে ইমামের, তেমনই দু’জনের ব্যাটিংয়ের ধরনও একরকম। তবে ইমাম বাঁ হাতে ব্যাট করেন এবং চশমা পরেন। নিজের খেলায় কাকার প্রভাব সম্পর্কে ইমাম বলেছেন, ‘ইনজি আঙ্কলের প্রভাব সবসময় আমার উপর আছে। যখনই আমার ব্যাটিংয়ের বিষয়ে সাহায্যের প্রয়োজন হয়েছে, তিনি আমাকে সময় দিয়েছেন। তিনি সবসময় বলেন, ইতিবাচক ক্রিকেট খেলবে, সাহসী হবে এবং ভাগ্যে বিশ্বাস করবে।’
ইনজামাম এখন পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক। তাই ইমাম একদিনের দলে সুযোগ পাওয়ায় অনেকেই স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছিলেন। পারফরম্যান্সের মাধ্যমে সেই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন ইমাম। শতরান করার পথে অবশ্য ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন তিনি। ৮৯ রানের মাথায় ক্যাচ আউট হয়েছিলেন। ক্রিজে ফিরেও যাচ্ছিলেন। কিন্তু নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে থাকা মহম্মদ হাফিজ ইমামকে থামান। তিনি আম্পায়ারদের বলেন, ক্যাচটি ঠিকমতো নেওয়া হয়েছে কি না, সেটা দেখতে হবে। তৃতীয় আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো রিপ্লে দেখে জানান, বলটি উইকেটকিপারের হাতে যাওয়ার আগে মাটি ছুঁয়েছে। ফলে নতুন জীবন পান ইমাম। কাকার মতো সফল হতে গেলে এখনও তাঁকে অনেকদূর যেতে হবে। তবে এখন থেকেই স্বপ্ন দেখাচ্ছেন এই তরুণ।