আর এই ভুল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একাংশ ২২ বছরের ঋষভকে নিশানা করেছেন। সেইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়াজ উঠেছে, ‘ব্রিং ব্যাক ধোনি’ (ধোনিকে ফিরিয়ে আনো)।
এরপরই অবশ্য ক্রটি শুধরে ঘুরে দাঁড়ান ভারতের এই তরুণ উইকেটরক্ষক। ম্যাচে তখন দাপট দেখাচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ভারতের ফিল্ডিংয়েও দেখা যাচ্ছে ফাঁকফোকর, খলিল আহমেদ বেধড়ক মার খাচ্ছেন। কোনও কিছুই যেন ভারতের পক্ষে চলছে না। ভারতীয় দলের সমর্থকরা তখন ঋষভের আউটের সুযোগ হাতছাড়া করার জন্য আফসোস করছেন। দেখা গেল ঋষভ কিন্তু হাল ছাড়েননি। অষ্টম ওভারে ঋষভ যেন দুরন্ত প্লে অ্যাক্টিং করলেন। চাহলের গুগলি লিটনের থাই প্যাডে লাগে। ঋষভ সেই বল না ধরে এলবিডব্লু-র আবেদন করেন। বল ব্যাটসম্যানের সামনের দিকে গড়িয়ে যায়। এরইমধ্যে ব্যাটসম্যান একটা রান চুরির চেষ্টা করেন। কিন্তু নন-স্ট্রাইকার নইমের কাছ থেকে কোনও সাড়া পাননি লিটন। সজাগ ছিলেন ঋষভ। দ্রুত এগিয়ে গিয়ে বল তুলে লিটন ক্রিজে ফেরার আগেই থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন তিনি।
আউট হন লিটন। ব্রেকথ্রু পায় ভারত। শুধু তাই নয়, এরপর ঋষভ তাঁর আগের ভুল শুধরে নেন। ১৩ তম ওভারে বল করছিলেন চাহলই। তাঁর গুগলির ফ্লাইটে ঠকে যান ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার। এবার কিন্তু ভারতের উইকেটরক্ষক কোনও তাড়াহুড়ো করেননি। বলের জন্য অপেক্ষা করে তা গ্লাভসে নেন এবং বেল ফেলে দেন। ক্রিজ থেকে তখন অনেকটাই দূরে সৌম্য সরকার। বোলার ও উইকেটরক্ষক সহ ভারতের ফিল্ডাররা তখন সাফল্যের উচ্ছ্বাসে মাতেন। কিন্তু চিত্রনাট্যে নয়া মোড় দেখা দেয়। টিভি আম্পায়ার বেশ কয়েকবার রিপ্লে দেখেন এবং সবাইকে চমকে দিয়ে জায়ান্ট স্কিনে ফুটে ওঠে ‘নট আউট’। সৌম্য ক্রিজের দিকে হাঁটা শুরু করেন। কিন্তু এরপরই স্ক্রিনে সঙ্গেত বদলে গিয়ে দেখায় ‘আউট’।