অ্যান্টিগা: টস হারতে হয়েছিল। কিন্তু তা কোনও সমস্যা হল ভারতীয় দলের কাছে। প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েও তা কাজে লাগাতে পারলেন না ইংল্য়ান্ড ব্য়াটাররা। ভারতের জোড়া তরুণ পেসার রবি কুমার ও রাজ বাওয়ার দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদে মাত্র ১৮৯ রানেই অল আউট হয়ে গেল ইংল্যান্ডের ইনিংস। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে জিততে হলে ১৯০ রান করতে হবে যশ ধূলদের। 


এদিন টস হারতে  হয়েছিল ভারত অধিনায়ক যশ ধূলকে। তবে ইংল্যান্ডের পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেন ভারতীয় বোলাররা। বিশেষ করে বাংলার রবি কুমার ও আরেক তরুণ বোলার রাজ বাওয়া। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ইংল্য়ান্ড ইনিংসে আঘাত হানেন রবি। তুলে নেন এক ওপেনারকে। নিজের পরের ওভারে ফের আঘাত হানেন রবি। ৪ ওভারের মধ্যেই ১৮ রান বোর্ডে তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। অধিনায়ক টম প্রেইস্ট খাতা খোলার আগেই রবির বলে ফিরে যান। এরপর মিডল অর্ডারে পরপর আঘাত হানেন রাজ বাওয়া। যার জেরে ৬১ রান বোর্ডে তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে নেয় ইংল্যান্ড। একটা সময় মনে হচ্ছিল যে হয়ত তারা একশোর গণ্ডিও পেরােতে পারবে না। কিন্তু সেখান থেকেই দলের হাল ধরেন ইংল্যান্ডের তরুণ বাঁহাতি জেমস রিউ। তিনি ও জেমস সিলস মিলে লম্বা পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। সিলস ৩৪ রানে অপরাজিত থাকলেও রিউ ৯৫ রানে রবির বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন। অল্পের জন্য নিজের শতরান মিস করলেন রিউ ফাইনালের মঞ্চে। তবে দলের রান দেড়শোর গণ্ডি পার করেন দেন ২ জনে মিলে। শেষ পর্যন্ত ৪৪. ৫ ওভারে ১৮৯ রানে অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। 


ভারতীয় বোলারদের মধ্য়ে ৫ উইকেট নেন রাজ বাওয়া। ৪ উইকেট পান রবি কুমার। ভারত এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বাধিক চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এবার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে সংখ্যাটা বাড়িয়ে নেওয়ার। গতবার ফাইনালে উঠেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল প্রিয়ম গর্গের দলকে। এবার কি যশ ধূল পারবেন সেই আক্ষেপ ঘোচাতে? উত্তর মিলবে কিছুক্ষণ পরেই।