ওভাল: অনবদ্য ছন্দে রয়েছেন তিনি। চলতি সিরিজেও তাঁর ব্যাটে রানের ফুলঝুরি। ভারত যখন ওভালে প্রথম ব্যাট করে ১৯১ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল, তখন ইংল্যান্ডের সেরা বাজি ছিল অধিনায়কের চওড়া ব্যাটই।
কিন্তু পারলেন না জো রুট (Joe Root)। ক্রিজে সেট গিয়েও উমেশ যাদবের চকিতে ভেতরে ঢুকে আসা বলে বোল্ড হয়ে গেলেন রুট। দিনের শেষ বেলায় যে উইকেট ভারতীয় শিবিরকে ফের তরতাজা করে দিয়েছে। ভারতের ১৯১ রান তাড়া করতে নেমে দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ৫৩/৩। দুই ওপেনারের সঙ্গেই প্যাভিলিয়নের রাস্তায় হেঁটেছেন রুট। এখনও ১৩৮ রানে এগিয়ে ভারত। সব মিলিয়ে প্রথম দিনই জমে উঠেছে ওভাল টেস্ট।
ব্যাটিং ধসের মধ্যেও একা কুম্ভ হয়ে লড়াই করলেন তিনি। ১৯১ রানে অল আউট হয়ে যাওয়া ভারতীয় ইনিংসে সবচেয়ে উজ্জ্বল তাঁর নাম। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ বলে ৫৭ রান করে তিনিই দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। একই সঙ্গে ওভালে ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করে বীরেন্দ্র সহবাগ, মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের রেকর্ড ভেঙে দিলেন শার্দুল ঠাকুর (Shardul Thakur)। অল্পের জন্য বেঁচে গেল কপিল দেবের রেকর্ড।
বৃহস্পতিবার ওভারে মাত্র ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করলেন শার্দুল। ভারতীয়দের মধ্যে যা টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। প্রথমে কপিল দেবের নাম। ১৯৮২ সালে করাচি টেস্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩০ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন কিংবদন্তি কপিল। সেটাই টেস্টে ভারতীয়দের মধ্য়ে দ্রুততম। কপিলের পরেই দু'নম্বরে শার্দুল।
চতুর্থ টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অল আউট ভারত। প্রাপ্তি বলতে বিরাট কোহলি ও শার্দুল ঠাকুরের অর্ধশতরান। দুরন্ত বোলিং করলেন ইংল্য়ান্ডের বোলাররা। এদিন ফের একবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন দলের মিডল অর্ডারের ২ স্তম্ভ চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্ক রাহানে। তবে সিরিজে টানা দ্বিতীয়বার অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন ভারত অধিনায়ক।
ইংল্য়ান্ড ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা দেন যশপ্রীত বুমরা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মাত্র ৪ বলের ব্যবধানে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন। শুক্রবার ভারতীয় বোলারদের হাতে পুঁজি ১৩৮ রানের। ফের একবার বুমরা-উমেশদের জ্বলে ওঠার অপেক্ষা করছেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা।