লন্ডন: লর্ডসে রূপকথার জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। ইংরেজ প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে ১৫১ রানে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ জিতে নিলেন বিরাট কোহলিরা। সেই সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ১-০ এগিয়ে গেল ভারত।


ম্যাচের রাশ নাটকীয়ভাবে পেন্ডুলামের মতো একবার ভারতের দিকে ঝুঁকেছে, তো পরের মুহূর্তেই ইংল্যান্ডের দিকে। শেষ দিকে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটায় ভারত। প্রথম ইনিংসে রোহিত শর্মা ও কে এল রাহুলের দুরন্ত ব্যাটিং ভারতকে সুবিধাজনক জায়গায় রেখেছিল। তবে ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছিল অধিনায়ক জো রুটের অনবদ্য সেঞ্চুরি। যে ইনিংসের পর একটা সময় ইংল্যান্ডের পাল্লা ভারি ছিল। ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ে ধস নামে। তবে লোয়ার অর্ডার অবিশ্বাস্য লড়াই করে। মহম্মদ শামি ৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। যশপ্রীত বুমরা মূল্যবান ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ২৯৮/৮ স্কোরে দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করেছিল ভারত। ইংল্যান্ডের সামনে ৬০ ওভারে জয়ের লক্ষ্য ছিল ২৭২ রান।


তবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। ২ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় ইংল্যান্ড। বুমরা ইনিংসের প্রথম ওভারেই তুলে নেন রোরি বার্নসকে। ডম সিবলিকে পরের ওভারেই ফেরান মহম্মদ শামি। স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র ১ রান যোগ হয়েছে। এরপর রোহিত শর্মা হাসিব হামিদের ক্যাচ ফেলে দিলেও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ইংরেজ ব্যাটসম্যান। ব্যক্তিগত ৯ রানের মাথায় আউট হন তিনি। এরপর জনি বেয়ারস্টোকে তুলে নেন ইশান্ত শর্মা। কিছু পরেই ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটসম্যান তথা অধিনায়ক জো রুট ফেরেন বুমরার বলে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে। ৩৩ রান করে।


ইংল্যান্ডের স্কোর তখন ৬৭/৫। কিন্তু এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মঈন আলি ও জস বাটলার। মঈন ফিরলেও লড়াই করে যাচ্ছিলেন বাটলার। ব্যক্তিগত ২ রানের মাথায় যাঁর ক্যাচ ফেলেছিলেন কোহলি।


শেষ হয়ে আসছিল ওভার সংখ্যাও। অবশেষে আর ৮.১ ওভার বাকি থাকা অবস্থায় ইংল্যান্ডকে ১২০ রানে অল আউট করে দেয় ভারত। ৫২তম ওভারে তিন বলের ব্যবধানে বাটলার ও অ্যান্ডারসনকে ফেরান সিরাজ। ইনিংসে তিনি ৪ উইকেট নিয়েছেন। তিনটি উইকেট বুমরার। ইশান্ত শর্মা ২টি ও শামি একটি উইকেট নিয়েছেন।


প্রথম ইনিংসে দুরন্ত সেঞ্চুরি করায় ম্যাচের সেরা হয়েছেন কে এল রাহুল।