এজবাস্টন: তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের ট্যাগলাইনে জ্বলজ্বল করছে দুটি শব্দ। কার্পে দিয়েম। অর্থাৎ, make the best use of time। বাংলা করলে যার অর্থ দাঁড়ায়, সময়কে সবচেয়ে ভালভাবে কাজে লাগাও।
কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ফের ব্যাট হাতে ব্যর্থ তিনি। একসময় যাঁর ব্যাট হাতে দাপট গোটা বিশ্বের তাবড় বোলারদের সম্ভ্রম আদায় করে নিয়েছিল। ক্রিকেট বিশ্ব তাঁর নামকরণই করে ফেলেছিল, কিং কোহলি। কিন্তু কোহলির ব্য়াটে রানের খরা কাটল না। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে (Ind vs England) এজবাস্টনে মাত্র ১১ রান করে ফিরলেন কোহলি। ক্রিজে তাঁর ইনিংস স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ১৯ বল।
সবচেয়ে বড় কথা, ইংল্যান্ডের ডানহাতি পেসার ম্য়াথু পটসের (Matthew Potts) বল খেলবেন, নাকি ছাড়বেন, সেটা ভাবতে ভাবতেই আউট হন কোহলি। অফস্টাম্পের সামান্য বাইরের বল প্রথমে খেলবেন ভেবেও পা বাড়িয়ে শেষ মুহূর্তে ছেড়ে দিতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগান কোহলি। বল গিয়ে তাঁর স্টাম্প ভেঙে দেয়। বোল্ড হয়ে যান কোহলি।
অথচ এই টেস্টে নায়ক হয়ে ওঠার সুযোগ ছিল তাঁর সামনে। টেস্ট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা করোনামুক্ত না হওয়ায় খেলছেন না। কে এল রাহুল চোটের জন্য নেই। নেই অজিঙ্ক রাহানেও। অভিজ্ঞদের মধ্যে কোহলি ছাড়া ছিলেন একমাত্র চেতেশ্বর পূজারা। যাঁকে দিয়ে ইনিংস ওপেন করায় ভারত। রান পাননি পূজারা। মাত্র ১৩ করে ফেরেন। কোহলির দিকেই বড় ইনিংসের জন্য তাকিয়েছিল দল। একটা বড় স্কোর তাঁকে হারানো গৌরব ফিরিয়ে দিতে পারত। আড়াই বছর হয়ে গেল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরি নেই। সবাই ভেবেছিলেন, জেমস অ্যান্ডারসনের সঙ্গে তাঁর দ্বৈরথ ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবে। অ্যান্ডারসনকে সতর্কভাবে সামলালেও, পটসের বলে উইকেট হারালেন কোহলি।
এজবাস্টনে টেস্টের প্রথম দিন চাপে ভারতও। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে মেঘলা আবহাওয়ায় বেকায়দায় ভারত। ১০০ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন: কোহলিরা যে মাঠে টেস্ট খেলছেন, সেটাই হতে চলেছে ক্রুণালের ঘরের মাঠ, কীভাবে ?