অ্য়ান্টিগা: বিশ্বচ্য়াম্পিয়ন ভারত। এই নিয়ে পাঁচবার। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্য়ান্ডকে উইকেটে হারিয়ে খেতাব জিতে নিল যশ ধূলের দল। প্রথমে বল হাতে রাজ বাওয়া, রবি কুমারদের দাপট। এরপর ব্যাট হাতে দুর্দান্ত রানের ইনিংস খেললেন শাইক রশিদ। অপরাজিত অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন নিশান্ত সিন্ধু। ১৯০ রান তাড়া করতে নেমে ৪৭.৪ ওভারে জয়ের জন্য় প্রয়োজনীয় রান তুলে নিল ভারত। এই নিয়ে আটবার ফাইনালে উঠে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হল যুব ভারতীয় দল।
বোলাররা দাপট দেখিয়েছিলেন। মাত্র ১৮৯ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল ইংল্য়ান্ড। অল্প রানের লক্ষ্যমাত্রা। কিন্তু শুরুটা একদমই ভাল হয়নি ভারতের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বোর্ডে কোনও রান যোগ করার আগেই ফিরে যান আঙ্গক্রিশ রঘুবংশী। এরপর হরনূর সিংহের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শাইক রশিদ। ২ জনে মিলে ৪৮ রান বোর্ডে যোগ করেন। দলের ৪৯ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত। ২১ রানের প্যাভিলিয়নে ফেরেন হরনূর। এরপর অধিনায়ক যশ ধূলের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন শাইক। ৪৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ২ জনে মিলে। ফাইনালে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন শাইক। ৮৪ বলের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। কিন্তু অর্ধশতরানের পরই তিনি ফিরে যান। তার এক ওভারের মধ্যে ব্যক্তিগত ১৭ রানে আউট হন যশ ধূলও। সাময়িক চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। কিন্তু তাতে কোনও সমস্যা হয়নি টিম ইন্ডিয়ার। কারণ রাজ বাওয়া ও নিশান্ত সিন্ধু মিলে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। রাজ ৩৫ রান করে ফিরে গেলেও জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত দীনেশ বানাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয় এনে দেন নিশান্ত সিন্ধু। তিনি ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন।
এদিন টস হারতে হয়েছিল ভারত অধিনায়ক যশ ধূলকে। তবে ইংল্যান্ডের পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেন ভারতীয় বোলাররা। বিশেষ করে বাংলার রবি কুমার ও আরেক তরুণ বোলার রাজ বাওয়া। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ইংল্য়ান্ড ইনিংসে আঘাত হানেন রবি। তুলে নেন এক ওপেনারকে। নিজের পরের ওভারে ফের আঘাত হানেন রবি। ৪ ওভারের মধ্যেই ১৮ রান বোর্ডে তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। অধিনায়ক টম প্রেইস্ট খাতা খোলার আগেই রবির বলে ফিরে যান। এরপর মিডল অর্ডারে পরপর আঘাত হানেন রাজ বাওয়া। যার জেরে ৬১ রান বোর্ডে তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে নেয় ইংল্যান্ড। একটা সময় মনে হচ্ছিল যে হয়ত তারা একশোর গণ্ডিও পেরােতে পারবে না। কিন্তু সেখান থেকেই দলের হাল ধরেন ইংল্যান্ডের তরুণ বাঁহাতি জেমস রিউ। তিনি ও জেমস সিলস মিলে লম্বা পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। সিলস ৩৪ রানে অপরাজিত থাকলেও রিউ ৯৫ রানে রবির বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন। অল্পের জন্য নিজের শতরান মিস করলেন রিউ ফাইনালের মঞ্চে। তবে দলের রান দেড়শোর গণ্ডি পার করেন দেন ২ জনে মিলে। শেষ পর্যন্ত ৪৪. ৫ ওভারে ১৮৯ রানে অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।