ম্যাঞ্চেস্টার: ওল্ড ট্রাফোর্ড, ম্যাঞ্চেস্টারে তৃতীয় ওয়ান ডেতে মুখোমুখি হয়েছে ভারত-ইংল্যান্ড। ১-১ থাকা সিরিজের ফলাফল নির্ণায়ক ম্যাচ এটি। তাই দুই দলই এই ম্যাচ জিততে মরিয়া। এই ম্যাচেই দুইটি অসামান্য ক্যাচ ধরে আবারও নিজের ফিল্ডিং দক্ষতা প্রমাণ করে দিলেন রবীন্দ্র জাডেজা।


ওভারে জোড়া সাফল্য হার্দিকের


১৫০ রানের আগেই পাঁচ উইকেট খুঁইয়ে ফেললেও ইংল্যান্ড কিন্তু নিজের আগ্রাসী ব্যাটিং শৈলী পরিত্যাগ করেনি। ষষ্ঠ উইকেটে জস বাটলার এবং লিয়াম লিভিংস্টোন ইংল্যান্ডকে বড় রানের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পার্টনারশিপ ভাঙতে ম্যাচে ভারতের সফলতম বোলার হার্দিককে ৩৭তম ওভারে বোলিংয়ে ডেকে নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। আর বল হাতে নিয়েই ভারতকে জোড়া সাফল্য এনে দেন হার্দিক পাণ্ড্য। একই ওভারে তিন বলের ব্যবধানে ফেরান লিভিংস্টোন এবং বাটলারকে।


অনবদ্য জাডেজা


তবে এই দুই উইকেটের ক্ষেত্রে হার্দিকের যতটা অবদান তার থেকে কোনও অংশে রবীন্দ্র জাডেজার অবদান কম নয়। দুই ইংল্যান্ড ব্যাটারই প্রায় একইরকমভাবে শর্ট বলে পুল মারতে গিয়ে ডিপ স্কোয়ার লেগে জাডেজার হাতে ক্যাচ দেন। লিভিংস্টোনের বলে নিখুঁতভাবে লাফ দিয়ে বাউন্ডারির কয়েক মিটার আগেই বল ধরে নেন জাডেজা। এখানেই শেষ নয়। তিন বল পরে বেশ অনেকটা দৌড়ে, প্রায় ডিপ মিড উইকেটের সামনে ডাইভ মেরে বাটলারের ক্যাচ নেন জাডেজা।


 






বাটলারের ক্যাচ নিয়ে জাডেজা নিজেই খানিকটা সময় সেলিব্রেট করেন। তারপরে তাকে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন বাকি ভারতীয়রা। ভারতীয় অলরাউন্ডের ফিল্ডিং দক্ষতা নিয়ে কারও যদি বিন্দুমাত্র কোনও সন্দেহ থাকে, তাহলে এই ক্যাচ দু'টিই তার সন্দেহ দূর করার জন্য যথেষ্ট। প্রসঙ্গত, প্রথম ইনিংসে ভারতীয় বোলাররা ইংল্যান্ডকে ২৫৯ রানেই অল আউট করে দেয়। তৃতীয় ম্যাচ তথা সিরিজ জিততে ভারতকে ২৬০ রান তুলতে হবে।


আরও পড়ুন: শিখরের পর ফিরলেন রোহিতও, ২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত