কানপুর: কানপুর টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও অভিষেক টেস্টেই নিজের চওড়া ব্যাটে দলকে টানলেন শ্রেয়স আয়ার। প্রথম ইনিংসে শতরান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। ৫১ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। সেখান থেকে দলের লিড বাড়ানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন শ্রেয়স। সেখান থেকে প্রথমে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও পরে ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের ইনিংসের হাল ধরেন শ্রেয়স। অশ্বিন ৬২ বলে ৩২ রান করে আউট হন। ততক্ষণে দলের স্কোর সেঞ্চুরি পার করে। দুজনের জুটিতে ৫৩ রান যোগ হয়। অশ্বিন আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁদের জুটিতে ভারতের লিড বাড়তে থাকে। শ্রেয়স হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন। ১০৯ বল খেলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ভারতের লিড ২০০-তে পৌঁছে যায়। ৫৬ ওভার শেষে ভারতের রান ছিল ৬ উইকেটে ১৫১। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে শ্রেয়সের এই ব্যাটিং বিশেষজ্ঞদের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে।


১৬৭ রানে দলের সপ্তম উইকেটের পতন ঘটে। আউট হন শ্রেয়স। ১২৬ বলে ৬৭ রান করে সাউদির বলে আউট হন তিনি। তার আগে ঋদ্ধির সঙ্গে জুটিতে ৬৪ রান যোগ করেন শ্রেয়স। তিনি আউট হওয়ার সময় ভারতের এগিয়ে ২১৬ রানে।


কানপুরে টেস্টের চতুর্থ দিনে ১ উইকেটে ১৪ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ভারত। ক্রিজে ছিলেন ময়াঙ্ক অগ্রবাল ও  চেতেশ্বর পূজারা। গতকালই শুভমন গিল আউট হয়ে গিয়েছিলেন। ভারতের লিড ছিল ৬৩ রান। এদিন দলের ৩২ রানে ফিরে যান পূজারা। তিনি করেন ২২ রান। এরপর দলের ৪১ রানে আজিঙ্কা রাহানে (৪) আউট হন। ৫১ রানে জোড়া ধাক্কা খায় ভারত। আউট হন ময়াঙ্ক (১৭) ও রবীন্দ্র জাডেজা।


শ্রেয়স আউট হওয়ার পর ঋদ্ধিমানের সঙ্গে ব্যাট করতে আসেন অক্ষর পটেল। প্রথম ইনিংসে ঝলমলে শতরান করেছিলেন শ্রেয়স। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসেও তাঁর ব্যাট থেকে হাফসেঞ্চুরি এল।