ওয়েলিংটন:# জয়ের জন্য ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২২ রানে মার্টিন গাপ্টিলের উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। তিনি বুমরাহর বলে চার করে আউট হন। এরপর কলিন মুনরো ও সেইফার্ট জুটি দলের ইনিংসের হাল ধরেন। তাঁরা যখন ব্যাট করছিলেন, তখন নিউজিল্যান্ডের জয় কার্যত নিশ্চিত মনে হচ্ছিল। দলের ৯৬ রানে রান আউট হয়ে যান মুনরো। তিনি করেন ৬৪ রান। স্কোরবোর্ডে একরান যোগ হওয়ার পর চাহলের বলে আউট হন টম ব্রুস। এরপর সেইফার্ট ও টেলর দলের রান ১৫৯-এ পৌঁছে দেন। ১৫৯ রানে নিউজিল্যান্ডের চতুর্থ  উইকেটের পতন ঘটে। শেষ ওভারের প্রথম বলে ২৪ রান করে শার্দূলের বলে আউট হন টেলর। টেলর আউট হওয়ার পর চাপের মুখে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল কিউই ব্যাটিং অর্ডার। সেইফার্টও আউট হয়ে গেলেন। তিনি করেন ৩৯ বলে ৫৭ রান। প্রায় নিশ্চিত জয়ের মুখ থেকে আরও একবার খালি হাতে ফিরতে হল নিউজিল্যান্ডকে। সুপার ওভারে হারতে হল তাদের। শার্দূল চার ওভারে ৩৩ উইকেট দিয়ে দুই উইকেট নেন। বুমরাহ ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। সাইনি দেন ৪ ওভারে ২৯ রান। চাহল চার ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন।

#এ যেন সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের পুণরাবৃত্তি! শেষ ওভারে সাত রান তুলতে গিয়ে  চাপের মুখে ভেঙে পড়লেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা।  সাত উইকেট হাতে নিয়েও জয়ের জন্য সাত রান তুলতে পারলেন না কিউই ব্যাটসম্যান। তৃতীয় ম্যাচের মহম্মদ শামি হয়ে উঠলেন শার্দূল ঠাকুর।  তৃতীয় ম্যাচের মতো চতুর্থ  ম্যাচও গড়াল সুপার ওভারে।

ওভারের প্রথম বলেই ২৪ রানে অপরাজিত থাকা টেলরকে ফেরালেন শার্দূল।  দ্বিতীয় বলে  ডি মিচেল  বাউন্ডারি মারলেও পরের বলে সেইফার্ট রান আউট হয়ে যান। চতুর্থ বলে স্যান্টনার এক রান নেন। পঞ্চম বলে মিচেল আউট হয়ে যান। শেষ বলে জয়ের জন্য ২ রানের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু  স্যান্টনারের শটে একরান হয়। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান স্যান্টনার। টাই হয় ম্যাচ। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

#ভারতের হয়ে সুপার ওভারে ব্যাট করতে নামেন কোহলি ও কেএল রাহুল। টিম সাউদির ওভারের প্রথম বলেই ছয় রান রাহুলের।  দ্বিতীয় বলে চার রান। তৃতীয় বলে আউট রাহুল। চতুর্থ বলে দুই রান নিলেন কোহলি। পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মেরে দলকে জয় এনে দিলেন অধিনায়ক।  সিরিজে ৪-০ এগিয়ে গেল ভারত।

#সুপার ওভারে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ১৪ রান। সুপার ওভারে বুমরারর বোলিংয়ে ১ উইকেটে ১৩ রান করে নিউজিল্যান্ড। সেইফার্ট আউট হন।

#টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে মিডল শুরুতে কেএল রাহুল ও শেষে মণীশ পান্ডের ব্যাটিংয়ে ভর করে ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে করল ৮ উইকেটে ১৬৫ রান। ওপেনার হিসেবে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারলেন না সঞ্জু স্যামসন।  ৫ বলে ৮ রান করে কুগেলেজিনের বলে আউট হলেন তিনি।  এরপর ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারও সেভাবে সফল হল না। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিয়ে ভারতের রান তোলার গতিতে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখল নিউজিল্যান্ড। রাহুল ২৬ বলে ৩৯ রান করেন। দুই কিউই স্পিনার স্যান্টনার ও ইশ সোধি ভারতীয় ইনিংসের রাশ টেনে রাখার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিলেন। স্যান্টনার দুটি ভালো  ক্যাচও নিলেন। এরমধ্যে একটি কোহলির। সোধি উইকেটের দুই দিকেই স্পিন করিয়েছেন, সেইসঙ্গে নিজের বলের পেস খুব ভালোভাবে ব্যবহার করে সাফল্য পেলেন। তিনি তিন উইকেট তুলে নিলেন। রান পেলেন না কোহলি (১১), শ্রেয়স আয়ার (১) ও শিবম দুবে (১২)। কিন্তু মণীশ আরও একবার প্রমাণ করলেন, কেন তিনি দলে জায়গা পাওয়ার দাবিদার।  একের পর এক ব্যাটসম্যানদের প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ায় চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। কিন্তু মণীশ মাথা ঠাণ্ডা রেখে  সিঙ্গল নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখেন। টেল এন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালান তিনি। এবং শেষ বল পর্যন্ত ক্রিজে থেকে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর তুলতে সাহায্য করলেন।  নিউজিল্যান্ডের জোরে বোলাররা শেষের দিকে চাপ বজায় রাখতে পারেননি।  শার্দূল  ১৫ বলে ২০ রান করেন।  সাইনি  ৯ বলে অপরাজিত ১১ রান করেন। মণীশ ৩৬ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে চলতি টি ২০ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত  নেয় নিউজিল্যান্ড। সিরিজ এমনিতেই ভারতের কব্জায়। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ভারত এগিয়ে ৩-০। ঘরের মাঠে সম্মানরক্ষার এই ম্যাচের আগে বড়সড় ধাক্কা খেলে কিউই শিবির। বাম কাঁধের চোটের জন্য ছিটকে গেলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তাঁর জায়গায় দলের নেতৃত্ব করবেন টিম সাউদি।
ভারতীয় দলে তিনটি পরিবর্তন হয়েছে। রোহিত শর্মা, মহম্মদ শামি ও রবীন্দ্র জাডেজার জায়গায় দলে এসেছেন সঞ্জু স্যামসন, ওয়াশিংটন সুন্দর ও নভদীপ সাইনি।
নিউজিল্যান্ড দলে দুটি পরিবর্তন হয়েছে। উইলিয়ামসন ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের জায়গায় দলে এসেছেন টম ব্রুস ও ডারিস মিচেল কম।
ভারতীয় দল: সঞ্জু স্যামসন, কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আয়ার, মণীশ পান্ডে, শিবম দুবে, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দূল ঠাকুর, যুজবেন্দ্র চাহল, নভদীপ সাইনি, জসপ্রিত বুমরাহ
নিউজিল্যান্ড: মার্টিন গাপ্টিল, কলিন মুনরো, টম ব্রুস, রস টেলর, ডারিল মিচেল, টিম সেইফার্ট, মিচেল স্যান্টনার, স্কট কুগলেজিন, টিম সাউদি, ইশ সোধি, হামিস বেনেট