কলকাতা: রবিবার তিনি যখন ব্যাট করতে নামলেন, ভারতের স্কোর ১০৩/৬। নিউজিল্যান্ডের চেয়ে মাত্র ১৫২ রানে এগিয়ে। কোনও কোনও মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়ে গিয়েছে যে, ভারতই না ম্য়াচ হেরে বসে!
পরের তিন ঘণ্টা সাত মিনিট কানপুরের গ্রিন পার্ক দেখল এক বাঙালির অসামান্য লড়াই। ১২৬ বলে ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) শুধু সমস্ত সমালোচনা ও অবসর-জল্পনাকে থামিয়েই দিলেন না, দলকে দিলেন অক্সিজেন। প্রথমে শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে ৬৪ রান ও পরে অক্ষর পটেলের সঙ্গে ৬৭ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে শিবিরে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার করলেন বঙ্গ তারকা। ১১ মাস পরে দলে ফিরেই ঝকঝকে ইনিংস।
কিন্তু তার পরেও বাদ পড়তে হতে পারে ঋদ্ধিমানকে!
বাঙালি উইকেটকিপারের আলোয় ফেরার দিন দলের ব্যাটিং কোচের কথায় সেরকমই ইঙ্গিত। রবিবার চতুর্থ দিনের খেলার শেষে ভারতের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌরের কাছে এবিপি লাইভ জানতে চেয়েছিল, ঋষভ পন্থ না থাকায় এতদিন পরে দলে এলেন ঋদ্ধি। কেমন দেখলেন এই ইনিংস? রাঠৌর বলেন, 'ঋদ্ধির দুর্ভাগ্য় যে আমরা ভীষণ স্পেশ্যাল একজন খেলোয়াড় পেয়ে গিয়েছি। ঋষভ পন্থ। ওই আমাদের এক নম্বর উইকেটকিপার এবং গত কয়েক বছরে দলের হয়ে দারুণ পারফর্ম করেছে। ঋদ্ধি তো আছেই। দলের যখন প্রয়োজন খেলবে। পন্থ না থাকলে ওই খেলবে। আর ওর আজকের ইনিংস দেখিয়ে দিল ও কী পারে।'
৩৬ অল আউটের পর বাদ পড়েছিল শুধু ঋদ্ধিই, ছাত্রের আলোয় ফেরার দিন ক্ষুব্ধ কোচ
রাঠৌরের কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত যে, পন্থ ফিরলে ঋদ্ধিকে ফের বাইরে বসতে হবে। অভিষেক টেস্টেই শ্রেয়স আইয়ারের পারফরম্যান্স নিয়ে মুগ্ধ ব্যাটিং কোচ। রাহুল দ্রাবিড়ের সহকারী বলছেন, 'শ্রেয়স ও ঋদ্ধি, দুজনের ইনিংসই খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেউ প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে এরকম ইনিংস খেললে বা সেঞ্চুরি করলে উত্তেজক তো লাগেই। খুব স্পেশ্যাল ইনিংস শ্রেয়সের। প্রথম ইনিংসের চেয়েও দ্বিতীয় ইনিংসে ওর ব্যাটিং বেশি ভাল লেগেছে। কোচ হিসাবে আমি খুব খুশি। দলে সুযোগ পেয়ে কেউ অবদান রাখলে কোচ ও সাপোর্ট স্টাফদের ভাল লাগে।'