পার্ল: এক নয়, একেবারে জোড়া ক্ষত নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে (Team India)। টেস্ট সিরিজের পর এবার ওয়ান ডে সিরিজেও প্রোটিয়াদের কাছে হারতে হল ভারতকে (Ind vs SA)। টেস্ট সিরিজে তবু প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। সিরিজের ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছিল শেষ ম্যাচ। ওয়ান ডে-তে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে কে এল রাহুলের ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিল তারা।
প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল ২৮৬/৭। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কার্যত শুরু থেকে দাপট দেখালেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনাররা। ফিল্ডিং করার সময় কে এল রাহুলের ক্যাচ ফেলেছিলেন জানেমন মালান। পরে হাফসেঞ্চুরি করে দেন রাহুল। ব্যাট হাতে যেন সেই আক্ষেপ মিটিয়ে নিলেন মালান। ১০৮ বলে ৯১ রান করলেন। তিনিই দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ স্কোরার। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৮টি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। অপর ওপেনার কুইন্টন ডি'কক ছিলেন মারমুখী মেজাজে। ৬৬ বলে ৭৮ রান করেন তিনি। ১১ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে একমাত্র যশপ্রীত বুমরা নজর কাড়েন। ১০ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। তবে লাভ হয়নি।
তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে গিয়েছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে (Ind vs SA) সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে হলে শুক্রবার দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে জিততেই হতো টিম ইন্ডিয়াকে। মরণ-বাঁচন ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে তুলেছিল ২৮৭ রান। ৬ উইকেট হারিয়ে। ব্যাট হাতে ভারতকে লড়াই করার মতো স্কোরে পৌঁছে দেন ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant) ও কে এল রাহুল (KL Rahul)। পন্থ ঝোড়ো ৮৫ রান করেন। রাহুল অবশ্য সহজাত ছন্দে ছিলেন না। তিনবার জীবন পান। দুবার তাঁর ক্যাচ পড়ে। একবার রান আউট হতে হতে বেঁচে যান। শেষ পর্যন্ত ৫৫ রান করে ফেরেন ভারত অধিনায়ক।
শেষ দিকে চালিয়ে খেলে শার্দুল ঠাকুর ৩৮ বলে অপরাজিত ৪০ রান করেন। ২৪ বলে ২৫ রান করে ক্রিজে ছিলেন আর অশ্বিন। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে তাবারেজ শামসি ২ উইকেট নিয়েছেন। ভারতীয় ইনিংস শেষ হওয়ার পর ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে গৌতম গম্ভীর বলেন, লড়াই করার মতো রান তুলেছে ভারত। বিশেষ করে লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা শেষ ১০ ওভারে ৭০ রান যোগ করেন। সেই দশ ওভারে মাত্র এক উইকেট পড়ে। গম্ভীর বলছেন, 'ওই দশ ওভারে ওঠা ৭০ রানই না ম্যাচে ফারাক গড়ে দেয়।'
যদিও শেষ পর্যন্ত কর্তৃত্ব দেখিয়েই সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা।