ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: নতুন বছর শুরুর মুখে দীর্ঘ হচ্ছে করোনা সংক্রমণের ছায়া। কেন্দ্রের নির্দেশের পর এমনিতেই আগের থেকে আরও সতর্ক রাজ্য সরকার। যদিও তাও কোভিডের থাবার থেকে মুক্তি মেলেনি। বেসরকারি সূত্রে খবর, কলকাতায় আরও দু'জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে (Covid Positive)।


দু'জনেই শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন


বেসরকারি সূত্রে খবর, কলকাতায় নতুন করে আরও দুই কোভিড পজিটিভের মধ্যে একজন পঞ্চান্ন বছরের মহিলা। তিনি ভর্তি রয়েছেন মুকুন্দপুরের একটি হাসপাতালে। বাহাত্তর বছরের একজন বৃদ্ধ ভর্তি রয়েছেন আনন্দপুরের একটি হাসপাতালে। দু'জনেই শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। পরীক্ষায় দু'জনেরই কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে।হাসপাতাল সূত্রে খবর, করোনা আক্রান্ত কলকাতার ওই দুই বাসিন্দার অবস্থা স্থিতিশীল।


বেসরকারি মতে, এই নিয়ে রাজ্যে মোট ১৫ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ


বেসরকারি মতে, এই নিয়ে রাজ্যে মোট ১৫ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল। যদিও সরকারি সূত্রে এখনও পর্যন্ত এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই। মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে শুরু হয়েছে পরিকাঠামো পরিদর্শন। গতকাল স্বাস্থ্যকর্তারা খতিয়ে দেখেছিলেন বি সি রায় হাসপাতাল ও আরজি কর হাসপাতালের পরিকাঠামো। আজ খতিয়ে দেখা হবে ন্যাশনাল মেডিক্যাল ও হাজরার চিত্তরঞ্জন সেবা সদনের পরিকাঠামো।


রাজ্যের কোনও নমুনাতেই  মেলেনি JN.1 ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ


তবে শেষ অবধি পাওয়া খবরে একটাই স্বস্তি যে,  জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের কোনও নমুনাতেই  মেলেনি JN.1 ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ।নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য সাতটি নমুনা পাঠানো হয়েছিল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জিনোমিকস-এ। সেখান থেকে জানানো হয়েছে কোনও নমুনাতেই কোভিডের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট JN.1- পাওয়া যায়নি। ভারতে JN.1 নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হলেও এখনই টিকা নিয়ে হুড়োহুড়ি করার প্রয়োজন নেই।


আরও পড়ুন, কলকাতার সব সম্পত্তি বেচে পালানোর ছক ? হাওড়ার পাণ্ডে ব্রাদার্সকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি ED-র


'যাঁদের বয়স ৬০ বছর বা তারও বেশি..'


ANI-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে INSACOG প্রধান এনকে অরোরা জানিয়েছেন, 'যাঁদের বয়স ৬০ বছর বা তারও বেশি তাঁদের কোভিড থেকে বাঁচার জন্য সাবধানতা নেওয়া উচিত। যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, যাঁরা এমন ওষুধ নেন যার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তাঁদের সাবধানী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এমন ব্যক্তিরা যদি এখনও কোনও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ না নেন, তাহলে তাঁরা অবশ্যই সেটা নিন, এখনই কোনও টিকার প্রয়োজন নেই।'