কলম্বো: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একাধিকবার লজ্জা হজম করতে হয়েছে ভারতকে। সে ১৯৯৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইডেন (Eden Gardens) বিপর্যয় হোক, বা ২০০০ সালে শারজায় শ্রীলঙ্কার ৩০০ রান তাড়া করতে নেমে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-সচিন তেন্ডুলকর সমৃদ্ধ দলের ৫৪ রানে অল আউট হয়ে যাওয়া।


সাফল্যও রয়েছে। ২০১১ সালে এই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েই দ্বিতীয়বারের জন্য ওয়ান ডে ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। আর সেই সাফল্যের সরণিতে নবতম সংযোজন, রবিবার শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে দুরমুশ করে এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সাফল্যের মুকুটে কোহিনূর হয়ে রইলেন মহম্মদ সিরাজ়। রবিবার কলম্বোয় তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান ৭-১-২১-৬। হায়দরাবাদের পেসারের ধাক্কায় ধ্বংস শ্রীলঙ্কা। রেকর্ডের ছড়াছড়ি।


শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ৫০ রানে অল আউট করে দেওয়ার পর উচ্ছ্বসিত সিরাজ়। সাফ জানিয়ে দিলেন, তাঁর মনে হচ্ছে যেন স্বপ্ন দেখছেন। ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে সিরাজ় বললেন, 'স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। তবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিরুঅনন্তপুরমেও একই জিনিস করেছিলাম। দ্রুত ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলাম। সেই ম্যাচে ৫ উইকেট পাইনি। আজ পেলাম। সেই সঙ্গে উপলব্ধি করলাম, কপালে যা আছে তা হবেই।'


শ্রীলঙ্কা যখন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়, অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। কারণ, তিন স্পিনারে খেলা ভারত যে প্রথমে বোলিং করলে কৌশলগতভাবে ধাক্কা খাবে, মনে করেছিলেন সকলে। তবে সব কিছু বদলে দেয় টসের পরের বৃষ্টি। ম্য়াচ শুরু হতে সামান্য দেরি হয়। পিচ ঢাকার আগেই সামান্য ভিজে যায়। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। স্যাঁতস্যাঁতে আবহ। পেস বোলিংয়ের আদর্শ মঞ্চ। আর সেই মঞ্চেই আগুন জ্বালালেন সিরাজ়।


 






ভারতীয় পেসার বলছেন, 'আমি খুব বেশি কিছু করার চেষ্টা করিনি। সাদা বলের ক্রিকেটে সব সময়ই স্যুইংয়ে জোর দিয়েছি। আগের ম্যাচগুলোতে এত স্যুইং পাইনি। তবে আজ স্যুইং হচ্ছিল। আউটস্যুইং করিয়ে বেশিরভাগ উইকেট পেয়েছি। চেয়েছিলাম, ব্যাটাররা যেন ড্রাইভ মারতে যায়। সেই পরিকল্পনা সফল হয়েছে।'         


আরও পড়ুন: নায়ক সিরাজ়, ১০ উইকেটে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে অষ্টমবারের জন্য এশিয়া সেরা ভারত


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial