কলকাতা: শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন তখন ২৫ রান। ইডেন গার্ডেন্সের (Eden Gardens) ক্লাব হাউসের আপার টিয়ারে হাজির কয়েকশো দর্শক ধরেই নিয়েছিলেন, হাসতে হাসতে ম্যাচ জিতবে ভারত। কিন্তু হর্ষল পটেলকে পরপর দুই বলে দুই ছক্কা মেরে ম্যাচ জিইয়ে রেখেছিলেন রভম্যান পাওয়েল। সেই পাওয়েল, ব্যক্তিগত ৩৮ রানের মাথায় যাঁর ক্যাচ ফেলেছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। সিএবি কর্তারা যেন খুশিই হয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় মানে যে সিরিজ ১-১ হয়ে যাওয়া। আর রবিবার অর্ধেক ভরা ইডেনের সামনে সিরিজের ফয়সালা হওয়ার মাহেন্দ্রক্ষণ।


কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নের সলিলসমাধি ঘটিয়ে দিল ভারত (Ind vs WI)। ৮ রানে ক্যারিবিয়ান-বধ করে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জয় সম্পন্ন করে ফেলল টিম ইন্ডিয়া।


শুধু পাওয়েলের নয়, ক্যাচ পড়েছে এক সময় ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভারতীয় শিবিরের হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেওয়া নিকোলাস পুরানেরও। তিনি তখন ব্যক্তিগত ২১ রানে ব্যাট করছেন। যুজবেন্দ্র চাহালের বলে পুল করেছিলেন। ডিপ মিড উইকেটে হাঁটুর উচ্চতায় বল পেয়েও ক্যাচ ফেলে দেন রবি বিষ্ণোই। শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ৬২ রান করে যান পুরান। ভারতের ১৮৬/৫ তাড়া করতে নেমে তৃতীয় উইকেটে ৬০ বলে ১০০ রান যোগ করে তখন ভারতীয় শিবিরের রক্তচাপ কিছুটা হলেও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন পুরান-পাওয়েল।


শেষ পর্যন্ত অবশ্য চাপের মুখে মাথা ঠাণ্ডা রেখে ম্যাচ বার করে নিলেন ভারতীয় বোলাররা। ঊনিশতম ওভারে বল করতে এসে মাত্র ৪ রান দিয়ে নিকোলাস পুরানের উইকেট তুলে নেন ভুবনেশ্বর কুমার। সেখানেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।


শুক্রবার প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৮৬/৫ তুলেছিল ভারত। ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করেন বিরাট কোহলি। শেষ দিকে বিধ্বংসী ব্যাটিং করে হাফসেঞ্চুরি করেন ঋষভ পন্থ। ১৮ বলে ৩৩ রান করেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭৮/৩ স্কোরে আটকে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ভুবনেশ্বর ২৯ রানে একটি, রবি বিষ্ণোই ৩০ রানে একটি ও যুজবেন্দ্র চাহাল ৩১ রানে এক উইকেট নেন।


রবিবার ইডেনে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। প্রত্যেক স্ট্যান্ডের আপার টিয়ারে দর্শক থাকবে। কিন্তু সেই ম্যাচে সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণের টানটান পরিস্থিতি থাকবে না।