কেপ টাউন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (WT20 WC) অস্ট্রেলিয়ার দাপট অব্যাহত। টানা সপ্তমবারের জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। গড়ে ফেলল এল অনবদ্য রেকর্ড।


২০০৯ সালে শুরু হয়েছিল মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ইংল্যান্ডে হওয়া সেই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। কিউয়িদের ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছিল ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড।


কিন্তু পরের সাতটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার দাপট। টানা সাতবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। বৃহস্পতিবার কেপ টাউনে সেমিফাইনালে ভারত যথেষ্ট বেগ দিয়েছে গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। তবে ১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ রান আগে থেমে যেতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে যায় যে, ট্রফি ধরে রাখার সুযোগ পাবে অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে এবার ট্রফি জয়ের যুদ্ধে নামবেন অজিরা।


টস জিতে প্রথম ব্যাটিং করে টিম ইন্ডিয়ার চাপ বাড়িয়ে দেন বেথ মুনি ও মেগ ল্যানিং। দুই অজি তারকার ঝোড়ো ব্যাটিং ভারতীয় বোলিংকে ছারখার করে দিয়েছিল। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ১৭২/৪।


তবু পাল্টা লড়াই করে ভারত। ১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি টিম ইন্ডিয়ার। মাত্র ২৮ রানে ৩ উইকেট চলে যায়। সেখান থেকে পাল্টা লড়াই শুরু করেন জেমাইমা রড্রিগেজ ও হরমনপ্রীত কৌর। ২৪ বলে ৪৩ রান করে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জেমাইমা। তবে হাল ছাড়েননি হরমনপ্রীত। ৩২ বলে হাফসেঞ্চুরি সম্পূর্ণ করেন হরমনপ্রীত।


তবে ৩২ বলে যখন ৪০ রান বাকি, তখন রান আউট হয়ে যান হরমনপ্রীত। তারপরই ফিরে যান রিচা ঘোষও (১৭ বলে ১৪ রান)। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৬৭/৮ স্কোরে আটকে গেল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫ রানে হেরে স্বপ্নভঙ্গ ভারতের।


সেমিফাইনালের আগে সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিলেন হরমনপ্রীত। তাঁর জ্বরও ছিল। ফাইনালে খেলা নিয়েও ছিল সংশয়। ঠিক যেমন পূজা বস্ত্রকার সেমিফাইনালে মাঠে নামতে পারেননি। তবে হরমনপ্রীত খেলেছেন। শারীরিক অসুস্থতার প্রতিকূলতা জেদ আর সংকল্প দিয়ে জয় করার চেষ্টা করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়াকে দেখলেই যেন ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন। এদিনও লড়াই করলেন। কিন্তু এমনভাবে রান আউট হলেন যে, রিপ্লে দেখলে শিউরে উঠবেন তিনি নিজেও। ওয়ারহ্যামের বলে স্যুইপ করেছিলেন হরমনপ্রীত। এক রান সম্পূর্ণ করে দু'রান নিতে দৌড়ন। কিন্তু বেথ মুনি শরীর ছুড়ে বল আটকে থ্রো করেন। অ্যালিসা হিলি যখন বেল ফেলে দিচ্ছেন, হরমনপ্রীত ক্রিজের বাইরে। সবচেয়ে বড় কথা, ব্যাট সামনে এগিয়ে রান সম্পূর্ণ করার চেষ্টাই করেননি তিনি।




আরও পড়ুন: সিরিজের মাঝেই দুঃসংবাদ, প্রয়াত উমেশ যাদবের বাবা