ইনদওর:  অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচ জিতল ভারত। রবিবার ইনদওরে অজিদের ৫ উইকেটে হারিয়ে দেয় কোহলি-ব্রিগেড। এই জয়ের ফলে, পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-০ এগিয়ে গেল মেন ইন ব্লু-রা।


ক্যাঙারুদের রাখা ২৯৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে ভারত। ৩০০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ভাল শুরু হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেটাই করেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও অজিঙ্ক রাহানে। প্রথম থেকেই অজি বোলারদের সংহার করতে থাকেন এই দুই ব্যাটসম্যান।


প্রথম উইকেটে মাত্র ২১ ওভারে ওঠে ১৩৯ রান। সেটাই কার্যত ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। এদিন বিশেষ করে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন রোহিত। তিনি ৭১ রান করেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায়। অন্যদিকে, তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন রাহানে। তিনি করেন ৭০ রান। মেরেছেন ৯টি চার।


রোহিত ও রাহানের তৈরি করা জমির ওপর জয়ের স্থাপত্য গড়েন হার্দিক পাণ্ড্য। এদিনও নিজের ঢঙে শুরু করেন হার্দিক। করেন ৭৮ রান। ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায়। ভাল শুরু করেও এদিন বড় রান করতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি ২৮ রানে আউট হন। যদিও, ভারতের যা গভীর ব্যাটিং লাইন-আপ, তাতে বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি। বাকি কাজটা আনায়াসে সারেন মণীশ পাণ্ডে (৩৬ অপরাজিত) ও মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।


এর আগে আজ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে ৬ উইকেটে ২৯৩ রান করে অস্ট্রেলিয়া। শতরান করেছেন ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ (১২৪)। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ৬৩ ও ডেভিড ওয়ার্নার ৪২ রান করেছেন। জসপ্রীত বুমরাহ ও কুলদীপ যাদব দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। যুজবেন্দ্র চাহাল ও হার্দিক পাণ্ড্য একটি করে উইকেট নিয়েছেন।


আজ শুরু থেকেই ভাল ব্যাটিং করছিলেন ওয়ার্নার ও ফিঞ্চ। ওপেনিং জুটিতে যোগ হয় ৭০ রান। ওয়ার্নারকে ফেরান হার্দিক। এরপর ফিঞ্চ ও স্মিথের জুটিতে যোগ হয় ১৫৪ রান। এরপর অবশ্য নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৫), ট্রেভিস হেড (৪), পিটার হ্যান্ডসকম্বরা (৩) বড় রান করতে পারেননি। মার্কাস স্টোইনিস ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।


এই জয়ের ফলে, দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ দখল করল ভারত। একইসঙ্গে, টানা ৯টি একদিনের ম্যাচ জিতে ধোনির রেকর্ড স্পর্শ করলেন কোহলি।


ভারতীয় দল- অজিঙ্ক রাহানে, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), মণীশ পাণ্ডে, কেদার যাদব, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, হার্দিক পাণ্ড্য, ভুবনেশ্বর কুমার, কেদার যাদব, জসপ্রীত বুমরাহ ও যুজবেন্দ্র চাহল।