ভারতের পক্ষে অশ্বিন, জাদেজা ও শামি ৩ টি করে উইকেট নিয়েছেন। ভুবি নিয়েছেন একটি উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। লাঞ্চের পর প্রথম ওভারেই মার্টিন গাপটিলকে (২৪) ফিরিয়ে দেন অশ্বিন। এরপর জমে গিয়েছিল হেনরি নিকোলস (২৪) ও টম লাথামের (৭৪) জুটি। নিকোলসকে ফিরিয়ে দেন রবীন্দ্র জাডেজা। কিছুক্ষণ পরেই রস টেলরকে (৪) ফেরান অশ্বিন। ইডেনের ২২ গজে ভারতীয় বোলারদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন টম লাথাম (৭৪)। চা পানের বিরতির পর খেলা শুরু হতেই তাঁকে ফেরান অশ্বিন। এরপর মিচেল স্যান্টনারকে (৫) আউট করেন মহম্মদ শামি। লুক রঞ্চিকে (৩২) ফেরান জাডেজা।
জীতিন পটেলকে তুলে নেন ভুবি। ট্রেন্ট বোল্টকে আউট করে কিউই ইনিংসের লেজ গুটিয়ে দেন শামি।
জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৩৭৬ রান তাড়া করতে নেমে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত বিনা উইকেটে ৫৫ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। ব্যাট করছিলেন লাথাম ও গাপটিল । মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত বিপক্ষের একটিও উইকেট তুলতে না পারায় কিছুটা চাপে পড়ে যান ভারতের বোলাররা। তবে দিনের দ্বিতীয় সেশনের শুরু থেকেই উইকেট নেওয়া শুরু করেছেন অশ্বিন। ফলে চতুর্থ দিনে ব্যাট-বলের জমজমাট লড়াই দেখার আশায় ছিলেন ইডেনের দর্শকরা। তাঁদের নিরাশ করলেন না অশ্বিন-জাডেজারা।
এর আগে আজ ঘরের মাঠে ঋদ্ধিমান সাহার লড়াকু ইনিংসের সুবাদে সুবিধাজনক জায়গায় চলে যায় ভারত। চতুর্থ দিন সকালে ঋদ্ধিমানের অপরাজিত ৫৮ রানের দ্বিতীয় ইনিংসে ভর করে ২৬৩ রান করে ভারত। দু ইনিংসেই অর্ধশতরান করে নজির গড়লেন বাংলার উইকেটকিপার। ম্যাচ জিততে গেলে নিউজিল্যান্ডকে করতে হবে ৩৭৬ রান। পরিস্থিতির বিচারে যা এখন প্রায় অসম্ভব। ফলে ক্রিকেটের নন্দনকাননেই সিরিজ জয়ের পাশাপাশি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে চলে যাওয়ার সামনে বিরাট কোহলির দল।
গতকালের আট উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে আজ সকালে খেলা শুরু করে ভারত। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান ও ভুবনেশ্বর কুমার নবম উইকেটে ৩৬ রানের মূল্যবান পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। ভুবনেশ্বর ব্যক্তিগত ২৩ রানে নিল ওয়াগনারের বলে হেনরি নিকোলসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। এরপর মহম্মদ শামি এক রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে টম লাথামের হাতে ধরা পড়েন।