ওয়েলিংটন: পঞ্চম তথা শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৩৫ রানে হারিয়ে একদিনের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতল ভারত। রবিবার, ওয়েলিংটনে প্রথম ব্যাটিং করে ২৫২ রান তোলে মেন ইন ব্লু। জবাবে, ২১৭ রানেই গুটিয়ে যায় কিউইদের ইনিংস।
এদিন টসে জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু, গত ম্যাচের মত এখানেও, শুরুতে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় টিম ইন্ডিয়া। একটা সময় ১৮ রানে চার উইকেট পড়ে গিয়েছিল। প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা, শিখর ধবন, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও শুভমান গিল। সেই সময় মনে হচ্ছিল, হ্যামিলটনের মত এখানেও ১০০ রানের মধ্যে গুটিয়ে যাবে ভারতের ইনিংস।
কিন্তু, সেই পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনে তোলার কাজ করেন অম্বাতি রায়ুডুু ও বিজয় শঙ্কর। বিজয় ৬৪ বলে ৪৫ ও রায়াডু ১১৩ বলে ৯০ করে দলের ভরাডুবি বাঁচান। পঞ্চম উইকেটে ৯৮ রান যোগ করেন এই দুজন। বিজয় আউট হওয়ার পর হার্দিক পাণ্ড্যকে সঙ্গে নিয়ে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেন রায়ুড়ু। শেষদিকে ঝোড়ো ইনিংস উপহার দেন হার্দিক। করেন ২২ বলে ৪৫ রান। কেদার যাদব করেন ৩৫।
৪৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট খুইয়ে ২৫২ রান তোলে ভারত। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার পেস বোলার ম্যাট হেনরি। ৩৫ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। অন্যদিকে, ৩৯ রানের বিনিময়ে ট্রেন্ট বোল্ট তুলে নেন ৩টি উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করে ব্ল্যাক ক্যাপস-রা। কিন্তু, কিন্তু অল্প ব্যবধানের মধ্যে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে কিউই শিবিরে প্রথম জোড়া আঘাত হানেন মহম্মদ শামি। কিন্তু, পাল্টা লড়াই চালান অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (৩৯) ও জিমি নীশাম (৪৪)। একটা সময়ে দলের অর্ধেক ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেও, নীশাম যতক্ষণ ছিলেন, ততক্ষণ কিউইরা লড়াইয়ে ছিল।
কিন্তু, ৩৮ তম ওভারে, দুরন্ত রানআউটের মাধ্যমে নীশামকে ফিরিয়ে দিয়ে ব্ল্যাক ক্যাপসদের জয়ের আশায় জল ঢেলে দেন ধোনি। সেখানেই কার্যত শেষ হয়ে যায় কিউইদের চ্যালেঞ্জ। বাকি উইকেট দ্রুত তুলে নেন ভারতীয় বোলাররা। এদিন ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন যুযবেন্দ্র চহাল। ১০ ওভারে মাত্র ৪১ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি।
একদিনের সিরিজ ৩-১ ফলে ইতিমধ্যেই জিতে নিয়েছে ভারত। হ্যামিল্টনে চতুর্থ ম্যাচে লজ্জাজনক ফলে হারে ভারত। মিডল অর্ডারে ধস নামায় মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ভারতের ইনিংস। জবাবে মাত্র ২ উইকেট খুইয়ে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছয় কিউইরা।
ফলে, নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও, এদিনের ম্যাচটি ভারতের মর্যাদার দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনটি বদল ঘটানো হয় ভারতীয় দলে। প্রথম একাদশ থেকে আজ বিশ্রাম দেওয়া হয় কুলদীপ যাদব, খলিল আহমেদকে। তাঁদের বদলি হিসাবে আসেন মহম্মদ সামি, বিজয় শঙ্কর। দীনেশ কার্তিকের জায়গায় দলে ঢোকেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এদিনের ম্যাচ জিতে ভারত প্রমাণ করল যে, আগের ম্যাচের ফলাফল একটি দুর্ঘটনা ছিল।