লিডস: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আগেই টি ২০ সিরিজ জিতেছে ভারত। এরপর একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচেও জয় দিয়ে শুরু করে ভারত। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ড ভারতকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে এনেছে ভারত। আজ সিরিজের তৃতীয় তথা নির্নায়ক ম্যাচ। এই ম্যাচ জিতে ভারত সিরিজ পকেটে পুরতে মরিয়া। অন্যদিকে, লর্ডসের জয়ে আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড শিবিরও। হেডিংলিতে তাই ভারতের কাজটা একেবারেই সহজ হবে না।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে কয়েকটি ভুলের মাশুল গুণতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। প্রথমে বোলাররা বেশ কিছ অতিরিক্ত রান দেন, যার বলে ইংল্যান্ড চ্যালেঞ্জিং স্কোর করতে সক্ষম হয়। এরপর ব্যাটসম্যানরাও ইংরেজ বোলারদের সেভাবে মোকাবিলা করতে পারেননি।
সুরেশ রায়না ও অধিনায়ক বিরাট কোহলি ছাড়া অন্য কোনও ব্যাটসম্যানই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। ওপেনার শিখর ধবন এবং পরে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি শুরুটা ভালো করলেও তা কাজে লাগিয়ে বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন।
টপ অর্ডারে লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মা ও হার্দিক পান্ড্যরা ব্যর্থ হন। ইনিংসের মাঝের ওভারগুলিতে ইংল্যান্ডের বোলারদের কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলতে ভারতের মিডল অর্ডারকে এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।


গত ম্যাচে বোলিং বিভাগে একমাত্র কুলদীপ যাদবই উইকেট পেয়েছিলেন। তবে তিনটি উইকেট নিলেও ১০ ওভারে ৬৮ রান দেন তিনি। পেসার উমেশ যাদব, হার্দিক পান্ড্য ও সিদ্ধার্থ কউলরাও দেদার রান দিয়ে ফেলেছিলেন।
প্রতিপক্ষ শিবিরের জো রুট, ইয়োন মর্গ্যান ও জেসন রয়রা ফর্মে ফিরেছেন। তাই তাঁদের আটকাতে নয়া কৌশল নিতে হবে ভারতীয় বোলারদের।

প্রথম ম্যাচে হারের পর ইংল্যান্ড দ্রুত ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে। বিশেষ করে চায়নাম্যান বোলার কুলদীপকে সামলানোর ক্ষেত্রে মুন্সিয়ানার ছাপ দেখা গিয়েছে ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে। রুট ও মর্গ্যান গত ম্যাচে যথাক্রমে ১১৩ ও ৫৩ রান করেন। জেসন রয় ও বেয়ারস্টোর খেলাতেও ফর্মে ফেরার ঝলক দেখা গিয়েছে। কাজেই ইংরেজ শিবিরের টপ অর্ডার নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে।সামান্য চিন্তা রয়েছে মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডার নিয়ে। বেন স্টোকস, জস বাটলার ও মইন আলিরা শুরুটা ভালো করেও খুব বেশি রান করতে পারেননি। এই তিন ব্যাটসম্যান যদি শেষ ম্যাচে ক্লিক করে যান, তাবলে ভারতের পক্ষে কাজ কঠিনতর হয়ে উঠবে।
প্রথম ম্যাচের তুলনায় দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বোলিং বিভাগও অনেকটাই উন্নতি করেছে। পেসার লিয়াম প্লুঙ্কেট ও ডেভিড উইলির সঙ্গে দুই স্পিনার আদিল রশিদ ও মার্ক উডের পারফরম্যান্স ইংল্যান্ড শিবিরকে স্বস্তি দিয়েছে।