মেলবোর্ন: অ্যাডিলেডে জিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচে একদিনের সিরিজে সমতা ফিরিয়ে এনেছে ভারত। আগামীকাল মেলবোর্নে জিতলেই সিরিজ জয়ের হাতছানি টিম কোহলির সামনে। অ্যাডিলেডের ম্যাচে দলকে স্বস্তি দিয়েছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ফর্মে ফেরা। কিন্তু সিরিজের শেষ তথা তৃতীয় একদিনের ম্যাচের আগেও ভারতীয় দলের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পঞ্চম বোলার।
সিডনিতে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতকে ৩৪ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সিডনিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারায় ভারত। ওই ম্যাচ জিতে সিরিজের লড়াইয়ে ফিরে আসে ভারত। এছাড়াও ওই ম্যাচে ধোনির ফর্ম ভারতীয় দলকে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই প্রাক্তন অধিনায়ককে চেনা ছন্দে দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু অ্যাডিলেডে দীর্ঘদিন বাদে পুরানো ছন্দে দেখা গিয়েছে ধোনিকে। ৫৫ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থেকে যান ধোনি। শেষ ওভারে জেসন বেহরেনডোর্ফের বলে ছয়ও মারেন তিনি। ১৪ বলে ২৫ রান করে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক।
ধোনি ও কার্তিকের ফর্ম ভারতীয় দলের কাছে স্বস্তিদায়ক। কারণ, বিশ্বকাপের আগে মিডল অর্ডার নিয়ে সমস্যার সমাধানে ধোনি ও কার্তিকের ফর্ম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যদিও ফাস্ট বোলিং বিভাগে সমস্যার সমাধান কিন্তু অধরা। গত দুটি ম্যাচেই দুই পেসার মহম্মদ সামি ও ভূবনেশ্বর কুমারের পারফরম্যান্স খুবই ভালো। মাঝের ওভারগুলিতে দুই স্পিনার কুলদীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাডেজা যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন ও উইকেটও তুলেছেন।
হার্দিক পান্ড্যর অনুপস্থিতিতে গত দুটি ম্যাচেই দুই ফুল-টাইম সিমারকে খেলিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।
কিন্তু খলিল আহমেদ ও মহম্মদ সিরাজ-দুজনেই আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারেননি।
সিডনিতে প্রথম একদিনের ম্যাচে সঠিক লাইন-লেংথে বল করতে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল খলিলকে। শুধু তাই নয়, দু-দুবার ওভারস্টেপও করেছিলেন তিনি। ৮ ওভার বল করে দিয়েছিলেন ৫৫ রান। অ্যাডিলেডে তাঁর জায়গায় নেওয়া হয় মহম্মদ সিরাজকে। কিন্তু কেরিয়ারের প্রথম একদিনের ম্যাচে সিরাজ একেবারেই প্রভাব ফেলতে পারেননি। ভারত এ দল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে দুরন্ত পারফর্ম করে স্কোয়াডে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু ওই ম্যাচে সঠিক লাইন ও লেংথে বল করতে পারেননি তিনি। ৭৬ রান দিয়েছিলেন তিনি।
অম্বাতি রায়ডুকে দিয়ে সিরিজে আর বোলিং করাতে আগ্রহী নন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সেহেতু পঞ্চম বোলারের বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাতেই হচ্ছে ভারতীয় দলকে।
সিম বোলিং অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্কর ও লেগ স্পিনার যজুবেন্দ্র চাহলও বিবেচনার মধ্যে রয়েছেন। এসজিজি-তে ঐচ্ছিক অনুশীলনে বৃহস্পতিবার দুই ক্রিকেটারকেই গা ঘামাতে দেখা গেল।
শঙ্কর তৃতীয় সিম বোলিং বিকল্প হতে পারেন। সঙ্গে ব্যাটিংটাও করতে পারেন। কিন্তু একদিনের অভিষেক ম্যাচে তিনি ১০ ওভার করে দেবেন, এতটা আশা করা যুক্তিসঙ্গত নাও হতে পারে।
এক্ষেত্রে চাহল অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য বিকল্প হয়ে উঠতে পারেন। এক্ষেত্রে দুই পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে নামতে হবে ভারতকে।
এমসিজি-তে এমনিতেই বাউন্ডারি বড়। এক্ষেত্রে রান বেঁধে রাখার কাজে দক্ষতা, ব্যাটসম্যানকে আক্রমণ করা এবং প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে নতুন বলে বোলিং, চাহলকে খেলানোর যুক্তি হতে পারে।
শঙ্করকে দলে নেওয়া হলে সেট ব্যাটিং লাইনআপে অদলবদল হতে পারে এবং দলে ঢুকতে পারেন কেদার যাদব। সেক্ষেত্রে পঞ্চম বোলারের কোটার ১০ ওভার শঙ্কর ও কেদারকে দিয়ে করানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে, অম্বাতি রায়ডু বা দীনেশ কার্তিককে দলের বাইরে থাকতে হতে পারে।