মুম্বই: আগামী অক্টোবর মাসে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বসতে চলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) আসর। ইতিমধ্যেই সব দল তাঁদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারছে। ভারতীয় দল (Indian Cricket Team) এই মুহূর্তে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ খেলছে। প্রথম ২ ম্যাচ জিতে সিরিজ ইতিমধ্যেই ঝুলিতে পুরে নিয়েছে তারা। সূত্রের খবর, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ে নির্বাচক কমিটি আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দল ঘোষিত হতে পারে।


এশিয়া কাপের ফাইনালের ৪ দিন পর স্কোয়াড ঘোষণা?


আপাতত যা সূত্রের খবর, তাতে জানা যাচ্ছে যে এশিয়া কাপের ফাইনালের ৪ দিন পরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা হতে পারে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের ফাইনাল। আর তার চারদিন পরেই হয়ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা হবে।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার নিয়মাবলী


১. আইসিসি স্কোয়াড জমা দেওয়ার জন্য ১৬ সেপ্টেম্বর একটি সময়সীমা নির্ধারণ করেছে


২. প্রতিটি দলকে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড নাম দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে


৩. টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল ৩০ জন সদস্য নিয়ে যেতে পারে


৪. মোট ২৩ জন অফিশিয়াল স্কোয়াডের অংশ হতে পারবেন


জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়


 প্রথম ওয়ান ডেতে জিম্বাবোয়েকে ১৮৯ রানে বেঁধে রাখার পর শুভমন গিল ও শিখর ধবনের দাপটে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল ভারতীয় দল। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ততটা দাপুটে ভঙ্গিমায় না হলেও, বেশ সহজেই ম্যাচ ও সিরিজ জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া। জয়ের জন্য ১৬২ রানের টার্গেট ভারতীয় দলের জন্য একেবারেই কঠিন হওয়ার কথা ছিল না। হলও না। সহজে পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতল ভারত।


গত ম্য়াচে ব্যাট করার সুযোগই পাননি, তাই এদিন ম্যাচ প্র্যাক্টিসের জন্য গিলের বদলে ওপেন করতে নামেন দলের অধিনায়ক কেএল রাহুল (KL Rahul)। তবে চোট আঘাত সারিয়ে দীর্ঘ সময় পরে রাহুলের কামব্যাকটা ব্যাট হাতে খুব মধুর হল না। মাত্র এক রানে এলবিডব্লু হন তিনি। গত ম্যাচের দুই হিরো শিখর ও গিল, উভয়েই শুরুটা ভাল করেছিলেন বটে। তবে দুইজনেই ৩৩ রানে সাজঘরে ফেরেন। ঈশান কিষাণও ব্যর্থ। তিনি ছয় রান করেন। মাঝে পরপর উইকেট হারিয়ে ক্ষণিকের জন্য ভারত একটু চাপে পড়েছিল বটে, তবে দীপক হুডা ও সঞ্জু স্যামসন ইনিংস সামলে নেন। হুডা অবশ্য ২৫ রানে আউট হয়ে যান। তবে স্যামসন শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলকে ম্যাচ জিতিয়েই ফেরেন। তিনি ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৪৬ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।