পুণে: টেস্ট, টি-২০ সিরিজের পর এবার একদিনের সিরিজেও ইংল্যান্ডকে দুরমুশ করল ভারতীয় দল। তিন ফর্ম্যাটেই নিজেদের আধিপত্যের প্রমাণ দিলেন বিরাট কোহলিরা। টেস্ট ও টি-২০ সিরিজে প্রথম ম্যাচ হারের পর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে শেষপর্যন্ত জয় পেয়েছিল ভারত। তবে একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। আজ তৃতীয় ম্যাচে উত্তেজক লড়াইয়ের পর ৭ রানে জিতে সিরিজ দখল করল ভারত। অসংখ্য ক্যাচ ফেলেও শেষপর্যন্ত ভারত যেভাবে জয় পেল, তার জন্য দিনের শেষে তৃপ্তির হাসি ভারতীয় ক্রিকেটারদের মুখে। একইসঙ্গে স্বস্তিও বটে।
আজ টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৮.২ ওভারে ৩২৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ। তাঁর ৬২ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা। শিখর ধবন করেন ৬৭ রান। তিনি ১০টি বাউন্ডারি মারেন। হার্দিক পাণ্ড্য ৪৪ বলে ৬৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা। রোহিত শর্মা ৩৭, বিরাট ৭, কে এল রাহুল ৭, ক্রুণাল পাণ্ড্য ২৫, শার্দুল ঠাকুর ৩০, ভুবনেশ্বর কুমার ৩ রান করেন। কোনও রান করতে পারেননি প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। টি নটরাজন ০ রানে অপরাজিত থাকেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মার্ক উড। দু’টি উইকেট নেন আদিল রশিদ। একটি করে উইকেট নেন স্যাম কারান, রিসি টপলি, বেন স্টোকস, মইন আলি ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনার জেসন রয় (১৪) ও জনি বেয়ারস্টোর (১) উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে দেন ভুবনেশ্বর কুমার। এরপর অবশ্য লড়াই শুরু করে ইংল্যান্ড। বেন স্টোকস করেন ৩৫ রান। তাঁকে ফেরান টি নটরাজন। ডেভিড মালান ৫০ রান করেন। জস বাটলার ১৫ ও লিভিংস্টোন ৩৬ রান করেন। এই তিনটি উইকেটই নেন শার্দুল। মইন আলি করেন ২৯ রান। তাঁকে ফেরান ভুবনেশ্বর। ৮ নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে শেষপর্যন্ত অসাধারণ লড়াই চালান স্যাম কারান। তিনি ৮৩ বলে ৯৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। আদিল রশিদ করেন ১৯ রান। তাঁকে ফেরান শার্দুল। শেষ ওভারে রান আউট হয়ে যান মার্ক উড (১৪)। টপলি ১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৯ উইকেটে ৩২২ রান করে ইংল্যান্ড।
ভারতের হয়ে ৬৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন শার্দুল। ৪২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ভুবনেশ্বর। একটি উইকেট নেন নটরাজন।
এদিন অসংখ্য ক্যাচ ফেলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ৪৯-তম ওভারে পরপর দু’বলে দু’টি ক্যাচ ফেলেন শার্দুল ও নটরাজন। তারপরেও মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ জিতল ভারত। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৪ রান। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে দলকে জেতান নটরাজন।