মুম্বই: আগামী ২৫ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে চলেছে ভারত-ইংল্যান্ড (IND vs ENG) টেস্ট সিরিজ (Test Series)। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই দল মুখোমুখি হবে। দেশের মাটিতে টানা ১৬টি টেস্ট সিরিজে ভারত। ২০১২ সালে শেষবার ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হেরেছিল ভারত। আর সেবার ভারতের ঘরের মাটিতে ভারতকে টেস্টে হারিয়ে দিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল ইংল্যান্ড। 


এক নজরে পাঁচ ম্য়াচের ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি


ভারত বনাম ইংল্য়ান্ড প্রথম টেস্ট রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা হবে। সকাল ৯.৩০ থেকে খেলা শুরু হবে।


দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশাখাপত্তনমের রাজাশেখর রেড্ডি স্টেডিয়ামে দেখা হবে। সকাল ৯.৩০ থেকে ম্য়াচ শুরু হবে।


তৃতীয় টেস্টটি শুরু হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামে খেলা হবে। একই সময় খেলা শুরু হবে।


চতুর্থ টেস্ট শুরু হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে। ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে ৯.৩০ থেকে। 


পঞ্চম টেস্টটি ৭ মার্চ থেকে শুরু হবে ধরমশালা। খেলা শুরু একই সময়।


বাজবল নিয়ে কী বললেন জাহির খান?


জাহির বলছেন, 'এখনকার দিনে পাঁচ টেস্ট ম্যাচের সিরিজ বড় একটা দেখা যায় না। অবশ্যই চর্চায় থাকবে বাজবল। আমি দেখতে চাই ইংল্যান্ড সেই একই মনোভাব নিয়ে এখানে নামে কি না। এখানে যে ধরনের উইকেটে খেলা হবে তা নিয়েও আলোচনা হবে। দুই দলই চাইবে নিজেদের প্রাধান্য দেখাতে।'


ভারতের প্রাক্তন বাঁহাতি স্পিনার প্রজ্ঞান ওঝাও মনে করেন, ভারতের মাটিতে স্পিন বোলিং সহায়ক পিচে বাজবল তত্ত্ব প্রয়োগ করা সহজ হবে না। প্রজ্ঞান বলেছেন, 'বাজবল মানে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা যে তত্ত্ব প্রয়োগ করে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল একটা মানসিক সুবিধা নিয়ে থাকে। তবে ভারতের মাটিতে বাজবল মানসিকতা নিয়ে এগনো কঠিন হবে। ভারতীয় স্পিনারদের বিরুদ্ধেই শুধু নয়, যশপ্রীত বুমরা সহ ভারতীয় পেসারদের বিরুদ্ধেও এত আগ্রাসী খেলা সম্ভব হবে না।'


বাজবল তত্ত্ব ব্যুমেরাং হয়ে ফিরলে বেন স্টোকসের নেতৃত্বাধীন দলের কোনও বিকল্প পরিকল্পনা ভাবা রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে ওঝার। প্রাক্তন বাঁহাতি স্পিনার বলেছেন, 'আমি নিশ্চিত ইংল্যান্ড তাদের এই বাজবল তত্ত্ব নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী। তবে সেই পরিকল্পনা কাজ না করলে কী হবে, বিকল্প চিন্তাভাবনাও করে রাখা উচিত।'