ম্যাঞ্চেস্টার: অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের মতো পাকিস্তান ম্যাচেও ফের একবার বিস্ফোরক ব্যাটিং করল ভারত। শিখরের চোট পাওয়ার পর ওপেনিং নিয়ে যে বিষয়টি ভারতীয় শিবিরকে সবথেকে বেশি ভাবিয়ে তুলেছিল, সেই প্ল্যান বি আপাতত সফল। ওপেনার হিসেবে নিজের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ অর্ধশতরান করলেন লোকেশ রাহুল (৫৭)। শতরান পেলেন রোহিত শর্মা (১৪০)। মহম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ, হাসান আলি, ইমাদ ওয়াসিমদের বিরুদ্ধে ৬৫ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলে গেলেন অধিনায়ক বিরাট।


তবে এই স্কোরটা আরও এগোতেই পারত যদি না বিরাট নিজে ভুল সিদ্ধান্ত নিতেন। ৪৭তম ওভারে আমিরের বাউন্সারে কট বিহাইন্ড দ্য উইকেট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ভারত অধিনায়ক। আম্পায়ারের আঙুল তোলার আগেই মাঠ ছেড়েছেন নিজেই। তবে পরের ওভারে আল্ট্রা এজে বিরাটের ক্যাচ আউট দেখাতেই শুরু হয়ে গেল চর্চা। ব্যাটে বলে কোনও সম্পর্কই হয়নি! অথচ, এজ হয়েছে ভেবে ২২ গজ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন রান মেশিন।


ভারতীয় ইনিংস শেষ হতে না হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে কোহলির এই আউট। ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ের্স মর্গ্যান তো রীতিমতো ভারত অধিনায়ককে খোঁচা দিয়ে ট্যুইট করেছেন, “এমন একজনকে পাওয়া গেল, যিনি নিজেই নিজেকে আউট করতে পারেন।” প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা ক্রিকেট সম্প্রচারক স্নেহাল প্রধানেরও বক্তব্য একই। ‘আউট ছিলে না’, বিরাটকে ট্যাগ করে ট্যুইট করেছেন বলি অভিনেতা অর্জুন রামপাল।











বিরাটের এই আউট নিয়ে চর্চা হয়েছে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের কমেন্ট্রি বক্সেও। ধারাভাষ্যকার তথা প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, অনেক সময়ই ব্যাটের হ্যান্ডেল আলগা হয়ে গেলে শট খেলার সময় এজ হওয়ার মতো আওয়াজ হয়। বিরাটের ক্ষেত্রেও সম্ভবত তেমনই কিছু ঘটেছে। পরে দেখা গেল সাজঘরে গিয়েও বিরাট তাঁর ব্যাট নিয়ে বারবারে নাড়াচাড়া করছেন। এভাবে আউট হয়ে বিরক্ত দেখাচ্ছিল তাঁকেও।