মাউন্ট মাউনগানুই: ২৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ফের সহজ জয় ভারতের। ৪২ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্য পৌঁছে গেল ভারত। তৃতীয় ম্যাচ নিউজিল্যান্ডকে সাত উইকেটে হারিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই ভারত চলতি একদিনের সিরিজ জিতে নিল ভারত। ৪৩ ওভারে ৩ উইকেটে ২৪৫ রান করে জয়ী হয় ভারত। অম্বাতি রায়ডু ৪০ ও দীনেশ কার্তিক ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ট্রেন্ট বোল্ট ২ ও স্যান্টনার ১ উইকেট নিয়েছেন।




রোহিত শর্মা ইতিমধ্যেই ৬২ রান করে আউট হন। ১৫২ রানে ভারতের দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়।     এরপর ৬০ রান করে আউট হন বিরাট কোহলি। ১৬৮ রানে তৃৃতীয় উইকেট হারায় ভারত।  ৩৯ রানে ভারতের প্রথম উইকেট পড়ে। ২৭ বলে ২৮ রান করে আউট হন শিখর ধবন।

প্রথমে পিঠের চোট, তারপর একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বিতর্কিত মন্তব্যর জন্য সাসপেনশন-প্রায় চার মাস পর মাঠে ফিরেই নিজেকে মেলে ধরলেন ভারতীয় দলের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ড্য। সেইসঙ্গে মহম্মদ সামি ও ভুবনেশ্বর কুমারের দাপুটে বোলিংয়ে ভারতের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজের তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ৪৯ ওভারে ২৪৩ রানে অলআউট হয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচ হারলেই পাঁচ ম্যাচের সিরিজ জিতে নেবে ভারত-এই পরিস্থিতিতে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের দাপটে কিউই ব্যাটসম্যানরা সেভাবে লড়াই করতে পারলেন না। রস টেলরের ৯৩ এবং ল্যাথামের ৫১ রান সত্ত্বেও আড়াইশো পেরোল না নিউজিল্যান্ডের স্কোর। ভারতের হয়ে মহম্মদ সামি ৯ ওভারে ৪১ রানে ৩ উইকেট, ভুবনেশ্বর ৯ ওভারে ৪৬ রানে ২ উইকেট এবং হার্দিক পান্ড্য ১০ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে দুই উইকেট পেলেন। এছাড়াও যজুবেন্দ্র চাহল ৯ ওভারে ৫১ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট।
বল হাতে সাফল্যের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ের তাঁর পরিচিত পারদর্শিতা দেখিয়েছেন হার্দিক।
দলে ভারসাম্যের ক্ষেত্রে হার্দিকের উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ ববে মনে করেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাঁর সেই অবস্থানকে আরও একবার সঠিক প্রমাণ করলেন হার্দিক।
টেলর ও ল্যাথামের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১১৯ রান ছাড়াও ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সামনে সেভাবে লড়াই করতে দেখা গেল না নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপকে। দ্বিতীয় ম্যাচের তুলনায় এদিনের পিচ আরও মন্থর মনে হয়েছে।
হার্দিক যে দলে ফিরবেন, তা নিশ্চিত ছিল। কিন্তু ম্যাচের আগে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চোটের জন্য ছিটকে গেলেন। গত পাঁচটি ম্যাচে তিনটি অর্ধশতরান করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। তাঁর জায়গায় উইকেটরক্ষক হিসেবে নেওয়া হয় দীনেশ কার্তিককে। ধোনি খেলেননি, কিন্তু কাকতালীয় হলেও গত পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে এই প্রথম ১০ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে ভারত সবচেয়ে কম (৩) উইকেট পেল। ভারতের তিন স্পিনার কুলদীপ, চাহল ও কেদার যাদব স্ট্যাম্পের পিছন থেকে ধোনির পরামর্শের কথা বরাবরই বলে থাকেন।এই তিন স্পিনারের মধ্যে এদিন চাহল ছাড়াও কেউ উইকেট পাননি। তবে এক্ষেত্রে রস টেলরের ব্যাটিংয়ের ভূমিকা ছিল। তাঁর ইনিংসে ভর করে নিউজিল্যান্ড ২৬০-এর বেশি রান করতে পারে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু সামি রস টেলরকে ফিরিয়ে দিয়ে সেই সম্ভাবনায় ছেদ টেনে দেন। এর আগে হার্দিক ফিরিয়ে দেন হেনরি নিকোলস ও মিচেল স্টারনারকে। ৪ উইকেটে ১৯১ রান থেকে নিউজিল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৯৮।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে কখনই স্বস্তিতে ছিল না নিউজিল্যান্ড। বে ওভালে নিয়মিত উইকেট পড়ছে কিউইদের। যার ফলে ইনিংস কখনই রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারল না। ৫৯ রানে পড়ে গিয়েছিল তিন উইকেট। আউট হয়েছিলেন মার্টিন গাপ্টিল (১৩), কলিন মুনরো (৭) ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (২৮)। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে টম লাথামের সঙ্গে রস টেলর ১১৯ রান যোগ করেন।
১৭৮ রানে লাথাম (৬৪ বলে ৫১) ফেরার পর আর কোনও জুটি হয়নি। তাসের ঘরের মতো ভাঙন ধরে ইনিংসে। সেঞ্চুরির দরজা থেকে ফেরেন টেলর। ১০৬ বলের ইনিংসে তিনি মারেন নয় বাউন্ডারি।