সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দ্যুতি জানিয়েছেন, ‘অনুশীলন ভালভাবেই চলছে। আমি ভুবনেশ্বরে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি। কিছুদিন আগেও টাকা নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। কারণ, টোকিও অলিম্পিক্সের দিন এগিয়ে আসছিল। রাজ্য সরকারও আমাকে সাহায্য করেছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জেরে টোকিও অলিম্পিক্স পিছিয়ে যাওয়ায় আমি সমস্যায় পড়েছি। স্পনসররা যা টাকা দিয়েছিল, তা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন আমার অলিম্পিক্সের প্রস্তুতির জন্য টাকা দরকার। আমার নতুন স্পনসর চাই। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জেরে নতুন স্পনসর পেতে সমস্যা হচ্ছে। তাই টাকা জোগাড় করার জন্য গাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এ বছরই অর্জুন পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন দ্যুতি। কিন্তু তিনিই এখন টাকার অভাবে সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন। অলিম্পিক্সের প্রস্তুতি চালাতে গিয়ে সমস্যায় তিনি। এই অ্যাথলিট বলেছেন, ‘করোনা ভাইরাসের জেরে এখন সরকারের কাছেই টাকা নেই। তাই আমার এখন সরকারের কাছ থেকে টাকা চাওয়া ভাল দেখাবে না। আমাদের সবার উপরেই করোনার প্রভাব পড়েছে। এখন কোনও প্রতিযোগিতা না চলায় কেউই আমাদের স্পনসর হতে চাইছে না। আমাদের সবাইকেই ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। এটা আমাদের জন্য খুব কঠিন সময়।’
দ্যুতি আরও জানিয়েছেন, যে অ্যাথলিটরা হস্টেলে থেকে অনুশীলন করেন, করোনা ও লকডাউনের জেরে তাঁরাই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। লকডাউনের জেরে তাঁরা বাড়িতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। পুরোদমে অনুশীলন শুরু করার পর সর্বোচ্চ ফিটনেস ফিরে পেতে ৬ থেকে ৭ মাস লাগবে।