ভূবনেশ্বর: নেদারল্যান্ডসের কাছে গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ভারতের। ১৯৭৫-এর পর এই প্রথম হকি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার আশা চুরমার হয়ে যাওয়ার পর মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন দলের তরুণ খেলোয়াড়রা।  শুরুতে আশা জাগিয়েও ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হল ভারতকে।


নেদারল্যান্ডস যেভাবে পিছিয়ে থেকেও জয় ছিনিয়ে নিল, তা যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না ভারতীয় খেলোয়াড়দের। ম্যাচের শেষে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় মাঠে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় দিলপ্রীত সিংহদের মতো তরুণ খেলোয়াড়দের।

ম্যাচের ১২ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। আকাশদীপের গোলে ভারত এগিয়ে যায়। কিন্তু থিয়েরি ব্রিঙ্কম্যান প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার পাঁচ সেকেন্ড আগে সমতা ফিরিয়ে আনেন।

তৃতীয় কোয়ার্টার তুমুল লড়াইয়ের পর ৫০ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের হয়ে গোল করেন মিঙ্ক ভ্যান ডের উইয়ারডেন।

১৯৭৫-এ কুয়ালালামপুরে শেষবার বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। তারপর থেকে আর সাফল্যের মুখ দেখেনি টিম ইন্ডিয়া। ঘরের মাঠে ৪৩ বছর পর নতুন ইতিহাস রচনার সুযোগ হারাল ভারতের হকি দল।

কোয়ার্টার ফাইনালে তীব্র লড়াই করেও হারের পর হতাশ কোচ হরেন্দ্র সিংহ। কথা বলতে গিয়ে চোখের জলে গলা বুজে আসে তাঁর। দলের হারের পর তিনি আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। দুই আম্পায়ারের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। কোচের মতে, আম্পায়ারিংয়ের ত্রুটির জন্য হারতে হল ভারতকে। যে পেনাল্টি কর্নার থেকে দ্বিতীয় তথা জয়সূচক গোল করে নেদারল্যান্ডস, সেই পেনাল্টি কর্নার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভারতীয় দলের কোচ। ম্যাচের চতুর্থ অর্ধে অমিত রোহিদাসের ১০ মিনিটের সাসপেনশন নিয়েও ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন হরেন্দ্র। তাঁর মতে, ১১ জন নয়,  ১৩ জনের বিরুদ্ধে খেলতে হয়েছে ভারতকে।