কলকাতা: টানা ছয় ম্যাচে হার। একেবারে কাছে গিয়েও জেতা হয়নি অনেক ম্যাচ। তার ওপর আবার প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে যাওয়ার ভ্রুকুটি। এই পরিস্থিতিতে দলের মধ্যেই নেতৃত্ব নিয়ে ‘কলহ’। সব মিলিয়ে একবারে ছত্রভঙ্গ অবস্থা কেকেআরের। এমন বেহাল অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে দিল রবিবারের মুম্বই ম্যাচ। রাসেলের অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সে ৩৪ রানে রোহিতদের হারাল দীনেশ কার্তিকরা। আর এই জয়ে কিছুটা হলেও আশার আলো জিইয়ে রাখল নাইট রাইডার্স। শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ আছে। ক্ষীণ হলেও আছে।


ম্যাচ শেষে কেকেআর অধিনায়ক কার্তিকও আশার বাণী শোনালেন। একই সঙ্গে প্রকাশ করলেন ‘হতাশা’ও। বেঙ্গালুরু ম্যাচ হারের পর নিজেই জানিয়েছিলেন, তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আর এদিন আরও একধাপ এগিয়ে তিনি বলে রাখলেন, পিছন থেকে ছুরি খাওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁর আছে! কার্তিক কোনও রাখঢাক না রেখেই জানালেন, “এই পরিস্থিতি অনেক কলহ এবং পিছন থেকে ছুরি মারার মতো ঘটনা ঘটবে। আমি সতর্ক এবং এমন পরিস্থিতি যেন না ঘটে তার জন্য সর্বোতভাবে চেষ্টা করছি।” একই সঙ্গে এও বলেন, “এই প্রতিযোগিতায় মানসিক চাপ অনেক বেশি। সবাইকে সুযোগ দিতে হয় কিছু করে দেখানোর জন্য। দিনের শেষে এটা স্রেফ একটা খেলা। নিজের সেরাটাই দিতে হয়। হাসিখুশি থাকতে হয়, সবার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে হয়। মাথায় রাখতে হবে সবাই নিজের মতো করে চেষ্টা করছে।”


অতীতে বহুবার রাসেলের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন তাঁকে টপ অর্ডারে পাঠানো হয় না? সরাসরি নিশানা করা হয়েছে কার্তিককেও। এদিন সেই সমালোচনার সামনে কার্যত বাধ্য হয়েই রাসেলকে তিনে ব্যাট করতে পাঠানো হয়। জামাইকান তারকাও সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন। বিধ্বংসী ইনিংসে (৮০) ছারখার করে দিয়েছেন মুম্বইয়ের বোলিং। তুলে নিয়েছেন ২টি উইকেটও। রবিবার  রাসেলের এই অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের প্রশংসাও করেন কার্তিক। তাঁর কথায়, “রাসেল একজন ভাল ক্রিকেটার। দেখে ভাল লাগছে, একজন খেলোয়াড় হিসেবে রাসেল আরও পরিণত হচ্ছে। আমি ওকে শান্ত থাকতে বলেছি।”