মুম্বই: জয়ের জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) সামনে ২১৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল রাজস্থান রয়্যালস। ম্যাচের শেষ বেলায় মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ছক্কা হাঁকালেও পরাজয় স্বীকার করতে হয় তাঁর দলকে। ২০০ রানেই গুটিয়ে যায় সিএসকে। এই ম্যাচে ধোনির কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন ভারত ওপেনার বীরেন্দ্র সহবাগ।


শেষ লগ্নে তিন তিনটে ছয় মারলেও জয়ের জন্য তা কম এবং বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছিল বলে মনে করছেন সহবাগ। এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ’’ম্যাচের শেষের দিকে ধোনির তিনটে ছয় মারায় অনেকেই মনে করেছিলেন টার্গেটের অনেকটা কাছাকাছি চলে এসেছে চেন্নাই। কিন্তু বাস্তবটা ছিল আলাদা। মাঝখানে ধোনি এত ডট বল খেলেছে যে ওকে দেখে মনে হচ্ছিল না লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে চাইছে।

ধোনি কেন সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সহবাগ। সহবাগের কথায়,’’আমি মনে করি আরও আগে ধোনির মাঠে নামা উচিত ছিল অথবা স্যাম কুরান আউট হয়ে যাওয়ার পরে রবীন্দ্র জাদেজাকে ব্যাটিং করতে পাঠানো উচিত ছিল। মিডল ওভারে রান রেট খুব মন্থর হয়ে পড়েছিল। শেষ ওভারে ২০-২২ রান প্রয়োজন ছিল জেতার জন্য। তবে শেষ দিকে ধোনির পরপর ছয় দেখে অনেকেই বলেছেন আহা কী দারুণ শেষ...।‘‘

সহবাগের আরও সংযোজন, ’’যদি টার্গেট ৩০ রানের বেশি থাকত, তাহলে ওই তিনটে ছয় ফারাক তৈরি করত। অন্তত কেদার যাদবের আগে ধোনির নামা উচিত ছিল। যাদবকে যতগুলি বলের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, ততগুলি বল যদি ধোনি খেলত, তা হলে ম্যাচের চেহারাটাই পালটে যেত। যে ১৬/১৭ রানের জন্য সিএসকে ব্রিগেড হেরে গেল সেটা হত না।‘‘

শুধু ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে নয়, বোলিং অর্ডারে ক্যাপ্টেন কুল-এর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সহবাগ। তিনি জানিয়েছেন, জাদেজা ও পীযূষ চাওলা ক্রমাগত রান দিয়ে গেলেও তাদের দিয়েই একগাদা ওভার বল করিয়েছেন। সঞ্জু স্যামসন যতক্ষণে আউট হয়েছেন, ততক্ষণে রাজস্থান রয়্যালস সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছে।‘‘

শুক্রবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে সিএসকের লড়াই। সেদিন কি ’ক্যাপ্টেন কুল‘-কে অন্য ফর্মে দেখা যাবে? হার ভুলে জয়ের দরজায় পৌঁছে দেবে ধোনির অধিনায়কত্ব? আশা-আশঙ্কার দোলাচলে ধোনি ভক্তরা।