কলকাতা: তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৪১৭ টেস্ট উইকেট। ২৬৯টি ওয়ান ডে উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শিকার ২৫টি। আইপিএলেও ১৫০ উইকেট রয়েছে তাঁর সাফল্যের ঝুলিতে।


সেই হরভজন সিংহও রবিবার বল করার সময় একটু ঘাবড়ে ছিলেন। ভুগছিলেন স্নায়ুর চাপে। হবে নাই বা কেন! প্রায় দু বছর পর আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে ফের বল করছিলেন যে।


২০১৯ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএলে খেলেছেন কিংবদন্তি স্পিনার। তবে ২০২০ সালে করোনা আবহে ব্যক্তিগত কারণে টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন পঞ্জাবের অফস্পিনার। বল ঘোরানোর দক্ষতার জন্য ক্রিকেটবিশ্ব যাঁকে চেনে 'টার্বুনেটর' নামে। চলতি মরসুমে নিলাম থেকে হরভজনকে কিনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। রবিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে নাইটদের জার্সিতে অভিষেক হল ভাজ্জির। মাত্র এক ওভার বল করেছেন। সেটাও হায়দরাবাদ ইনিংসের প্রথম ওভার। ভাগ্য সঙ্গ দিলে একটা উইকেটও পেতেন। তবে তাঁর বলে ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ ফেলে দেন প্যাট কামিন্স। এক ওভারে ৮ রান দিলেও উইকেট পাননি ভাজ্জি।


চেনা এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়াম। সিএসকে-র হয়ে খেলার সময় যে মাঠ ছিল আস্তানা। তবে ভাজ্জি জানালেন, চেনা মাঠেও তিনি কিছুটা নার্ভাস ছিলেন। প্রায় দু'বছর পর আইপিএলে খেলছেন, কেকেআর অধিনায়ক অইন মর্গ্যান হাতে নতুন বল তুলে দেওয়ার সময় আপনার অনুভূতি ঠিক কীরকম ছিল? এবিপি লাইভের প্রশ্নে চেন্নাই থেকে হরভজন বললেন, 'নতুন বলে বল করাটা আমার কাছে নতুন কিছু নয়। আগেও করেছি।' তারপরই ভাজ্জি যোগ করলেন, 'তবে হ্যাঁ, দু বছর পর আইপিএলে খেলছি। একটু নার্ভাস ছিলাম। এটা স্বাভাবিক। এতদিন পর আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে খেললে সকলেই স্নায়ুর চাপ টের পাবে। শেষ পর্যন্ত আমাকে নিজেকে শান্ত রাখতে হয়েছিল। যেভাবে এত বছর বল করেছি, সেভাবেই বোলিং করেছি। দলের যা প্রয়োজন ছিল সেটা করেছি। প্রথম ওভারটা ভাল করতে পারায় আমি খুশি।'


তবে প্রথম ওভারের পর আর বল দেওয়া হয়নি হরভজনকে। যা নিয়ে ৪১ ছুঁই ছুঁই হরভজন বলছেন, 'আরও বল করার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সেটা হয়নি। তবে আমি নিশ্চিত টিম কেকেআরের হয়ে আরও অনেক ওভার বল করব। অনেক ছোট ছোট মুহূর্ত কেকেআরের হয়ে জিতব। কেকেআরের হয়ে প্রচুর উইকেট নেব।'


ভাজ্জির আত্মবিশ্বাসই টুর্নামেন্টের পরের ম্যাচগুলিতে নাইট শিবিরের সম্পদ হয়ে উঠতে পারে।