চেন্নাই: হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya) নিজে বলেন, মহেন্দ্র সিংহ ধোনির (MS Dhoni) কাছেই তিনি নেতৃত্বের পাঠ পেয়েছেন। সেই ধোনির দলের বিরুদ্ধেই পরীক্ষা দিতে নামছেন ক্যাপ্টেন হার্দিক। আইপিএলের কোয়ালিফায়ার ওয়ানে। যে ম্যাচে যুুযুধান গুজরাত টাইটান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। জিতলেই ফাইনালে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ। পয়েন্ট টেবিলে প্রথম দুইয়ে শেষ করার পুরস্কারও পাবে দুই দল। যারাই হারুক না কেন, ফাইনালে ওঠার আরও একটি সুযোগ পাবে।
ধোনির অধিনায়কত্বের সঙ্গে অনেকে হার্দিকের নেতৃত্ব দেওয়ার ধরনের মিল পাচ্ছেন। সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর ভরসা দেখানো, জুনিয়র ক্রিকেটারদের দায়িত্ব দেওয়া, গোটা দলকে মানসিকভাবে তরতাজা রাখা... হার্দিক যে ক্যাপ্টেন কুলের ছায়া। পুরস্কারও পেয়েছেন। গত মরসুমে প্রথমবার নেমেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গুজরাত টাইটান্স। হার্দিকের নেতৃত্বে।
একটা সময় বিজয় শঙ্করকে জাতীয় দলে হার্দিকের প্রতিপক্ষ মনে করা হতো। সেই শঙ্করকেই দুর্দান্তভাবে কাজে লাগাচ্ছেন হার্দিক। নূর আমেদ, জশ লিটলের মতো তরুণদেরও দুর্দান্তভাবে কাজে লাগাচ্ছেন। ঠিক যেভাবে অজিঙ্ক রাহানের মতো সিনিয়রদের থেকে সেরাটা বার করে আনছেন ধোনি। বা তুষার দেশপাণ্ডে, মাথিশা পাথিরানার মতো তরুণের ভরসায় সিএসকে বোলিংকে টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা করে তুলেছেন ক্যাপ্টেন কুল। বেন স্টোকসের মতো মহাতারকার অভাব বুঝতেই পারা যাচ্ছে না ধোনির বিচক্ষণতায়।
দুই দলের তুল্যমূল্য লড়াইয়ে সিএসকে সামান্য সুবিধা পেতে পারে কারণ, খেলা ধোনিদের ঘরের মাঠে। চিপকে। যে মাঠে ধোনিদের ম্যাচ মানে হলুদ সমুদ্রে পরিণত হবে গ্যালারি। ম্যাচ জুড়ে চলবে হুইসল পোড়ু। যা মনে করিয়ে দেয় ভুভুজেলাকে।
গুজরাতের সবচেয়ে বড় কাঁটা ক্লান্তি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলে বেঙ্গালুরু থেকে সোমবারই চেন্নাই উড়ে গিয়েছেন হার্দিকরা। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাঠে নেমে পড়তে হবে। তবে জিতলেই ঘরের মাঠে ফাইনালে খেলার সুযোগ পাবেন হার্দিকরা। ২০১১ ও ২০১২ সালে পরপর দুই মরসুম ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলেছিল সিএসকে। চেন্নাইকে হারালে সেই সুযোগ পাবেন হার্দিকরাও।
শেষ হাসি কাদের জন্য তোলা থাকল?