চেন্নাই: জয়ের জন্য ১৩৫ রানের লক্ষ্য খুব একটা বড় ছিল না, সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারাতে চেন্নাই সুপার কিংসকে (CSK vs SRH) খুব একটা কষ্ট করতেও হল  না। ৮৭ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপে ভর করে সহজেই সাত উইকেটে জয় পেল সিএসকে। ৫৭ বলে ৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ডেভন কনওয়ে (Devon Conway)। এর ফলে চিপকে সানরাইজার্সের দুঃস্বপ্নের রেকর্ড অব্যাহত রইল। হলুদ ব্রিগেডের বিরুদ্ধে চার ম্যাচ খেলে চারটিতেই পরাজিত হল সানরাইজার্স। 


দুরন্ত কনওয়ে


অল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিএসকে ওপেনাররা শুরুটা দুরন্ত ছন্দে করেন। পাওয়ার প্লেতে রুতুরাজ গায়কোয়াড় খানিকটা ধরে খেললেও ডেভন কনওয়ে হু হু করে রান তুলতে শুরু করেন। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারেই বিনা উইকেটে ৬০ রান তুলে ফেলে সিএসকে। জয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়া হলুদ ব্রিগেডকে প্রথম ধাক্কাটা দেন উমরন মালিক। কনওয়ের মারা স্ট্রেট ড্রাইভ উমরনের হাতে লেগে নন-স্ট্রাইকারের দিকের উইকেট ভেঙে দেয়। ক্রিজের বাইরে থাকায় রুতুরাজকে সাজঘরে ফিরতেই হয়। ৩৫ রানে আউট হন তিনি।


রুতুরাজ আউট হওয়ার পর ব্যাটে নামা অজিঙ্ক রাহানেও কিন্তু ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। ব্যর্থ হন আম্বাতি রায়াডুও। তিনিও ৯ রানেই সাজঘরে ফেরেন। তবে পরপর তিন উইকেট হারালেও, সিএসকের জয় নিয়ে কখনই তেমন কোনও সন্দেহ তৈরি হয়নি, কারণ কনওয়ে একপ্রান্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনিই শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন। দলের পরাজয়ের দিনেও অবশ্য ময়ঙ্ক মারকাণ্ডে নিজের বোলিংয়ে সকলকে প্রভাবিত করেন। সানরাইজার্স স্পিনার নিজের নির্ধারিত চার ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন।


প্রথম ইনিংস


এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। দুর্ভাগ্যবশত এই ম্যাচেও সিএসকের হয়ে মাঠে নামেননি ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে হায়দরাবাদ ওপেনাররা শুরুটা একেবারে মন্দ করেননি। তবে হ্যারি ব্রুক এই ম্যাচেও বড় রান করতে ব্যর্থ হন। তিনি ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিন নম্বরে নামা রাহুল ত্রিপাঠী একেবারেই আজ ছন্দে ছিলেন না। শুরু থেকেই বড় শট খেলতে বেশ বেগ পেতে হয়।


তবে অভিষেক শর্মা মিডল অর্ডার থেকে ওপেনিংয়ে প্রমোশন পেয়ে কিন্তু ভালই ব্যাট করছিলেন। পাওয়ার প্লেতে এক উইকেটের বিনিময়ে ৪৫ রান তোলে সানরাইজার্স। পাওয়ার প্লের পরে সিএসকে স্পিনাররা বল হাতে তুলে নিতেই সানরাইজার্সের রানের গতি আরও কমে যায়। বল হাতে আগুন ঝরান রবীন্দ্র জাডেজা। একের পর এক অভিষেক শর্মা (৩৪), ত্রিপাঠী (২১) ও মিডল অর্ডারে নামা ময়ঙ্ক আগরওয়ালকে (২) সাজঘরে ফেরত পাঠান জাডেজা। এইডেন মারক্রামকে এক দুরন্ত ক্যাচ ধরে সাজঘরে ফেরত পাঠান ধোনি। মিডল অর্ডারে পরপর উইকেট হারানোর ধাক্কা কাটিয়েই উঠতে পারেনি সানরাইজার্স।


মার্কো জানসেন ২২ বল খেললেও মাত্র ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ওয়াশিংটন সুন্দরও ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। ডেথ ওভারে বড় শট খেলতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হন সানরাইজার্স ব্যাটাররা। শেষ তিন ওভারে ওঠে মাত্র ২০ রান। এর ফলে ১৩৪ রানেই সানরাইজার্সের ইনিংস থমকে যায়। ফের একবার নিজের বোলিংয়ে প্রভাবিত করলেন 'বেবি মালিঙ্গা' মাথিশা পাথিরানা। 


আরও পড়ুন: দুশো রানের পূর্বাভাস ইডেনে, উড়বে কি ধোনির হেলিকপ্টার?