নয়াদিল্লি: বলা হয়, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটিংয়ের মাথা ভারি। কোমর থেকে পা পর্যন্ত শীর্ণকায়। বিরাট কোহলি-ফাফ ডুপ্লেসি-গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের বল্লা চললে বর্ণময় ইনিংস। আর শুরুতে রোশনাই না জ্বললে মাঝপর্ব থেকে শুধুই অন্ধকার।
কার্যত সেই ছবিই দেখা যাচ্ছিল শনিবারের ফিরোজ শাহ কোটলায়। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করলেন বিরাট কোহলি। তাঁর ৪৬ বলে ৫৫ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারি। তাঁর সঙ্গে ইনিংসে ওপেন করতে নেমে ৩২ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেললেন ফাফ ডুপ্লেসি। যিনি এখন সম্পূর্ণ ফিট। দলকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন। ডুপ্লেসি মেরেছেন ৫টি চার ও ১টি ছক্কা।
কিন্তু পুরনো রোগ ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। ওপেনিং জুটিতে ৬৩ বলে ৮২ রান উঠে যাওয়ার পরেও পরপর উইকেট হারিয়ে বসেছিল আরসিবি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল কোনও রান না করে ফেরেন। ৯ বলে ১১ রান করে ফিরলেন দীনেশ কার্তিক। ফের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় কি বিপন্ন হবে আরসিবি?
তবে শেষ পর্যন্ত সেটা হতে দিলেন না মহীপাল লোমরর। চলতি আইপিএলে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলছেন। শনিবার চার নম্বরে নেমে ২৯ বলে ৫৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন। অপরাজিতও রইলেন। লোমররের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা। প্রায় ১৮৭ স্ট্রাইক রেট রেখে রান করলেন। তাঁর জন্যই দিল্লি প্রত্যাঘাত করেও আরসিবির রানকে দেড়শোর মধ্যে বেঁধে রাখতে পারল না। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান তুলল আরসিবি। ম্যাচ জিততে দিল্লিকে তুলতে হবে ১৮২ রান। যে কাজটা সহজ হবে না বলেই মনে করছেন সকলে।
কোহলিকে ফিরিয়ে নজর কাড়েন বাংলার পেসার মুকেশ কুমার। ৩ ওভারে ৩০ রান খরচ করেছেন তিনি। অক্ষর পটেল ৩ ওভারে ১৭ রান দেন। আর কেউই সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি।