কলকাতা: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। সংক্ষেপে আইপিএল (IPL)। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা টুর্নামেন্ট মনে করা হয়। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারেরা যে টুর্নামেন্টে খেলতে মুখিয়ে থাকেন। শাকিব আল হাসানের মতো তারকারা অনেক সময়ই বলেছেন যে, ভারতে আইপিএল খেলে তাঁরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তাঁদের উন্নতিতে সাহায্য করেছে।
জন্ম ২০০৮ সালে। আর শুরুর বছর থেকেই ব্যাট-বলের রোমহর্ষক প্রতিদ্বন্দ্বিতা সকলের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে। ক্রিকেটীয় দ্বৈরথের রোমাঞ্চকে আরও উত্তেজক করে তুলতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড দুটি বিশেষ পুরস্কার দিয়ে থাকে আইপিএলে। অরেঞ্জ ক্যাপ। যা দেওয়া হয় টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটারকে। আর পার্পল ক্যাপ। যা পান সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলার।
ষোড়শ আইপিএলে অরেঞ্জ ক্যাপের (Orange Cap) দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে কে? কার ঝুলিতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি রানের নজির?
এবারের আইপিএলে যেন পুনর্জন্ম হয়েছে শিখর ধবনের। জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার। তবে ধারাবাহিকতার অভাবে দল থেকে বাদ পড়েছেন। এ বছরই অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের দলে কি ধবনকে দেখা যাবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইসিসি টুর্নামেন্টে বরাবর সফল দিল্লির বাঁহাতি ক্রিকেটার। তাই, হিসেবের বাইরে রাখা যাবে না ধবনকে।
আর তাঁকে যে সত্যিই হিসেবের বাইরে রাখা যাবে না, তা প্রমাণ করে চলেছেন ধবন। চলতি আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ১৭টি ম্যাচ খেলা হয়েছে। যার মধ্যে ধবন খেলেছেন ৩ ম্যাচ। রানের নিরিখে তিনি সকলের আগে। আপাতত অরেঞ্জ ক্যাপ রয়েছে ধবনের দখলে।
এবার পাঞ্জাব কিংস দলের অধিনায়ক করা হয়েছে ধবনকে। ৩ ম্যাচে ২২৫ রান করেছেন তিনি। ব্যাটিং গড় শুনলে চমকে উঠতে হবে। ২২৫! রয়েছে দুটি হাফসেঞ্চুরিও। সর্বোচ্চ? অপরাজিত ৯৯ রান। যা তিনি করেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে। যে বোলিং আক্রমণে ভুবনেশ্বর কুমারের মতো অভিজ্ঞ তারকার পাশাপাশি রয়েছেন উমরন মালিকের মতো দ্রুত গতির পেসার। ১৪৯ স্ট্রাইক রেট ধবনের। অর্থাৎ, প্রত্যেক একশো বলে ১৪৯ রান করেন।
অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে দুই নম্বরে আছেন ডেভিড ওয়ার্নার। তাঁর দল দিল্লি ক্যাপিটালস টানা চার ম্যাচ হেরে বিপাকে। তবে ৪ ম্যাচে ২০৯ রান করেছেন ওয়ার্নার। তিনটি হাফসেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ ৬৫। ব্যাটিং গড় ৫২.২৫। তবে ১১৪.৮৩ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নিরিখে বেশ মন্থর।
অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে প্রথম পাঁচে থাকা বাকি তিন নাম হল জস বাটলার (৪ ম্যাচে ২০৪ রান), রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৪ ম্যাচে ১৯৭ রান) ও ফাফ ডুপ্লেসি (৩ ম্যাচে ১৭৫ রান)। শেষ পর্যন্ত কার মাথায় উঠবে সেরা ব্যাটারের শিরোপা?