লখনউ: খুশির ঈদ (Eid 2023)। আর তাঁরা বাড়িতে নেই। পরিবারের সদস্যদের থেকে অনেক দূরে। তা বলে কি উদযাপন করবেন না!
ঈদের দিন সকলে মিলে একসঙ্গে নমাজ পড়লেন গুজরাত টাইটান্সের (GT) ক্রিকেটারেরা। একে অপরকে শুভেচ্ছা জানালেন রশিদ খান, মহম্মদ শামিরা।
কয়েকদিন আগে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল যে, রশিদ খানদের সঙ্গে মেঝেতে কার্পেট বিছিয়ে বসে ইফতার সারছেন হার্দিক পাণ্ড্য। যিনি গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়ক। হার্দিকের নেতৃত্বে গতবার আইপিএলে নেমেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গুজরাত টাইটান্স। দলের ক্রিকেটারদের সংহতি যে তাঁদের কাছে কত বড় সম্পদ, একাধিকবার তা বলেছেন হার্দিক। ক্রিকেট মাঠে যে ধর্মের ভেদাভেদ প্রভাব ফেলে না, সেটা প্রতিফলিত হয়েছিল রশিদ খানদের সঙ্গে হার্দিকের ইফতারে যোগ দেওয়ার ছবিতে।
পবিত্র ঈদের দিনই গুজরাত টাইটান্স মাঠে নামছে। লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে হার্দিকদের প্রতিপক্ষ কে এল রাহুলের লখনউ সুপার জায়ান্টস। সেই ম্যাচের আগে ঈদ উদযাপিত হল গুজরাত শিবিরে।
গুজরাত টাইটান্স তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে আফগানিস্তানের রশিদ, ভারতের শামিরা মিলেমিশে একাকার। সকলে মিলে একসঙ্গে খুশিতে মাতোয়ারা হয়েছেন।
ছবি ও ভিডিওতে আরেকটি ব্যাপার নজর কেড়ে নিয়েছে। রশিদ খানকে দেখা গিয়েছে মুখে মাস্ক পরে থাকতে। যা দেখে অনেকে আফগান স্পিনারের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। বলাবলি হচ্ছে যে, ভারতে করোনা পরিস্থিতি ফের খারাপের দিকে যাচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই পরিস্থিতিতে ঈদের উৎসবেও মাস্ক পরে যোগ দেওয়াটা আসলে রশিদ খানের দায়িত্ববোধের পরিচয় দিচ্ছে। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে, তারকা ক্রিকেটারদের দেখে সকলে শেখেন। অনুপ্রেরণা পান। তাই উদাহরম তৈরি করলেন রশিদ।
লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে আজ ২২ গজে ২ ভাইয়ের মহারণ। মুখোমুখি লখনউ সুপারজায়ান্টস ও গুজরাত টাইটান্স। কে এল রাহুলের নেতৃত্বাধীন লখনউ শিবিরে রয়েছেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। উল্টোদিকে গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়ক ক্রুণালের ভাই হার্দিক পাণ্ড্য। ২টো দলই আগের বার প্রথমবার আইপিএলে খেলতে নেমেছিল। এখনও পর্যন্ত ২টো ম্যাচ খেলেছে এই ২ দল। মুখোমুখি সাক্ষাতে এগিয়ে গুজরাত টাইটান্স।
এখনও পর্যন্ত চলতি আইপিএলে ৬ ম্যাচ খেলে তার মধ্যে ৪ ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে লখনউ সুপারজায়ান্টস। অন্যদিকে গুজরাত টাইটান্স ৫ ম্যাচ খেলে ৩ ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। রাহুলের দল তাঁদের শেষ ম্যাচে রাজস্থানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে ১০ রানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। অন্যদিকে হার্দিক পাণ্ড্যর দলও তাঁদের শেষ ম্যাচ খেলেছে রাজস্থানের বিরুদ্ধেই। কিন্তু তারা সেই ম্যাচে হেরে যায়।