কলকাতা: আইপিএল ফাইনালের আগে খোশমেজাজে সিএসকে শিবির। দীপক চাহারের ক্যামেরায় বন্দি মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। অরেঞ্জ ক্যাপ চাপিয়েই ঘুম দিলেন শুভমন গিল। আইপিএলের সেরা পাঁচ খবর এক নজরে।
আজ আইপিএল ফাইনাল
ষোড়শ আইপিএলের (IPL 2023) শুরুটা হয়েছিল আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে গত বারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্স বনাম চেন্নাই সুপার কিংসের (GT vs CSK) ম্যাচ দিয়ে। ৭৩টি ম্যাচের পর সেই একই স্টেডিয়ামে এই দুই দলই আবার খেতাবি লড়াইয়ে একে অপরের মুখোমুখি হতে চলেছে। পয়েন্ট তালিকা হোক বা পারফরম্যান্স, এই দুই দলই গোটা আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেছেন। তাই দুই দলকে ফাইনালে দেখে তেমন কেউই অবাক হবেন না।
অরেঞ্জ ক্যাপ মাথায় ঘুম
লড়াই দিয়ে ঢাকে কাঠি পড়েছিল প্রতিযোগিতার, সেই যুদ্ধে দিয়েই শেষ হতে চলেছে প্রতিযোগিতা। মাঝের তফাৎটা আসমান-জমিনের। আর এবারের ম্যাচের ফলাফলে নির্ভর করছে সিকন্দর হওয়ার হাতছানি। ফাইনাল। আইপিএলের। মুখোমুখি গুজরাত টাইটান্স (Gujarat Titans) ও চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)।
আর আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মেগা ম্যাচের আগে শান্তির ঘুম গতবারের চ্যাম্পিয়নদের ব্যাটিংয়ের সেরা অস্ত্র শুভমন গিলের (Subhman Gill)। তবে স্রেফ ঘুমই নয়, চেন্নাই বোলারদের ঘুম কেড়ে নেওয়ার প্রচ্ছন্ন বার্তাও যেন দিয়ে রাখলেন তিনি। শুভমনের সোশালে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে কমলা টুপি চাপিয়ে মুখ ঢেকেছেন তিনি। গোটা আইপিএল কার্যত দুরন্ত ছন্দে থাকলেও অরেঞ্জ ক্যাপ দকল করতে পারেননি। কিন্তু মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) বিরুদ্ধে শতরানের পথে কমলা টুপি নিজের দখলে করে ফেলেছেন শুভমন।
খোশমেজাজে সিএসকে শিবির
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, তারপরেই আইপিএলের (IPL 2023) খেতাবি লড়াইয়ে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে গুজরাত টাইটান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস (GT vs CSK) একে অপরের মুখোমুখি হবে। সেই ম্যাচ খেলার উদ্দেশে ইতিমধ্যেই চেন্নাই থেকে আমদাবাদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে হলুদ ব্রিগেড। যে কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালেই বাড়তি চাপ থাকেই। কিন্তু ম্যাচের আগে একেবারে খোশমেজাজে সিএসকে।
আমদাবাদগামী ফ্লাইটেই চাহার দম্পতির ক্যামেরায় বন্দি হলেন সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)। ফ্লাইটে দীপক চাহার (Deepak Chahar) ও তাঁর স্ত্রী জয়া (Jaya Chahar) ফ্লাইটে বেশ খোশমেজাজেই আড্ডা দিচ্ছিলেন। তাঁদের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ধোনি। 'থালা'-কে দেখার পরেই তাঁর একটি ভিডিও করেন চাহার। সেই ভিডিওটিতে ধোনিকে চাহার দম্পতির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতে দেখা যায়। গোটা ঘটনাটির ভিডিও সিএসকের সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোডও করা হয়। ভিডিওটি আপলোড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেশ ভাইরালও হয়।
ধোনির জন্য বিশেষ বার্তা
আইপিএল ফাইনাল খেলোয়াড় হিসাবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির শেষ ম্যাচ হতে পারে বলে বিভিন্ন মহলে জল্পনা চলছেই। গোটা বিশ্বজুড়েই মাহির অনুরাগীর কমতি নেই। আর সিএসকে সমর্থকদের জন্য তিনি হলেন তাঁদের প্রিয় 'থালা', তামিল ভাষায় যার অর্থ বড় ভাই। ফাইনাল ম্যাচের আগে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত সিএসকের অনুরাগীরা। এরই মধ্যে ধোনিকে শুভেচ্ছায় ভাসালেন সিএসকে সমর্থকরা।
সিএসকের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা এক ভিডিওতে বিভিন্ন সমর্থকরা ফাইনাল ম্যাচের আগে নিজেদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান। সেখানে এক সমর্থককে বলতে শোনা যায়, 'আমি বিগত ১০ বছর ধরে আইপিএলে কাজ করছি। ধোনিকে কাছ থেকে দেখতে পাব বলেই এখানে আমি কাজ করা শুরু করেছিলাম। লোকজন বলছে এটাই ওঁর শেষ আইপিএল ম্যাচ হতে চলেছে। আমি এটার সত্যি, মিথ্যা জানি না। তবে এটুকু নিশ্চিত যে ভবিষ্যতে সিএসকেকে যারাই নেতৃত্ব দিন না কেন, কেউই ধোনির সমতুল্য হতে পারবেন না। ওঁকে নিয়ে আমি রোজ স্বপ্ন দেখি।'
আরেক সমর্থক বলেন, 'পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ওঁ সবসময় মাথা ঠাণ্ডা রাখে। থালা তো একজনই হয়।' ভিডিও শেষে এক খুদে অনুরাগীকে বলতে শোনা যায়, 'ওঁর খেলা দেখার জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি। আমি এমএস ধোনিকে ভীষণ ভালবাসি'। ফাইনাল ম্যাচের আগে যে ধোনি-আবেগে ভাসছেন সিএসকে সমর্থকরা, তা বলাই লাহুল্য।
অনন্য রেকর্ড গড়ার হাতছানি
আইপিএলে ধোনির হাত ধরেই চার চারটি খেতাব জিতেছে সিএসকে। রবিবার, ২৮ মে পঞ্চম আইপিএল ট্রফি জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সর্বকালীন খেতাব জয়ের রেকর্ডে ভাগ বসানোর হাতছানি ধোনির নেতৃত্বাধীন সিএসকের সামনে। এই ম্যাচটি ধোনির শেষ আইপিএল ম্যাচ হতে পারে বলে, বিভিন্ন মহলে জল্পনা চলছে। তিনি পরের মরসুম থেকে আর আইপিএল খেলেন কি না, সেটা সময়ই বলবে। তবে রবিবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মাঠে নামলেই এক অনন্য রেকর্ড গড়ে ফেলবেন মাহি। তিনিই প্রথম খেলোয়াড় হিসাবে আইপিএলে ২৫০টি ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবেন। নিজের মাইলফলক ম্যাচকে থালা চিরস্মরণীয় করে রাখতে পারেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন: 'অয়েলি স্ক্যাল্প'-এর সমস্যা দূর করতে প্রতিদিনের জীবনে কী কী নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন?