কলকাতা: কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) দলের প্রাণভোমরা তিনি। ব্যাটে হোক বা বলে, আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell) থাকা মানে ম্যাচ অন।


শনিবার দিনটা আবার ক্যারিবিয়ান তারকার জন্য আলাদা তাৎপর্যের। কারণ, এদিনই ৩৫ পূর্ণ করলেন রাসেল। আর জন্মদিনে ব্যাটে নিজের বিধ্বংসী চেহারার ঝলক দেখালেন। মাত্র ১৯ বলে করলেন ৩৪ রান। স্ট্রাইক রেট? ১৭৮.৯৪। দুটি চার ও ৩টি বিশাল ছক্কা মারলেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। রহমনুল্লা গুরবাজ ছাড়া একমাত্র রাসেলই ব্যাট হাতে পাল্টা লড়াই করলেন।


কেকেআর ইনিংসের শেষে ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে রাসেল বললেন, 'বেশ ভাল লাগছে। হ্যাঁ হয়তো স্কোরবোর্ড দেখলে খুব একটা খুশি হব না। কিন্তু আমাদের বোলিং আক্রমণ ভাল। এই উইকেটে ১৯০ থেকে ২০০ রান উঠত বলে মনে হয়েছে। হয়তো আমরা কিছু রান কম তুলেছি। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে হবে। আমি দলের সব বোলারের পাশে রয়েছি। আমাকেও বল হাতে ভাল করতে হবে।'


ইডেন গার্ডেন্সের নিঃশর্ত সমর্থন যে তাঁর কাছে অমূল্য, বলেছেন রাসেল। 'ইডেনে খেলা আমার কাছে বিরাট ব্যাপার। আমি যখন কলকাতায় থাকি, সমর্থকদের কাছ থেকে যে ভালবাসা পাই, অসাধারণ বললেও কম বলা হয়। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি আমার কাছে পরিবারের মতো।'


আরও পড়ুন: গুণের 'খনি', কিন্তু কখন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর কমলা লেবু ?


রাসেল সাম্প্রতিক সময়ে বারংবার চোট আঘাতে ভুগেছেন। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের সময়ে রাসেল হাঁটুর চোটের কারণে অনেকগুলি ম্যাচ খেলতে পারেননি। সেই সময় তাঁর হাঁটুর সমস্যা সারিয়ে তোলার জন্য কেকেআর যা করেছে তার জন্য চিরকৃতজ্ঞ ক্যারিবিয়ান তারকা। তিনি নাইট ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'আমি কিছু বছর আগেও হাঁটু নিয়ে বিরাট সমস্যায় ছিলাম। তখন কেকেআরই আমার দেখভালের দায়িত্ব নেয়। যাতে আমি হাঁটুর চোট সারিয়ে উঠতে পারি, তার জন্য যা যা করণীয়, সব করে। অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি, এমনকী আমার দেশও আমার জন্য কোনদিন এতটা ভাবেনি।'


এরপরেই রাসেল স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি আইপিএলে কেকেআর বাদে আর অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলতে চান না। 'আমি এখানে খুবই খুশি। বিগত নয় বছর ধরে এই দলের হয়ে খেলছি। সত্যি বলতে এই টুর্নামেন্টে কেকেআর বাদে আমি আর অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সিতে নিজেকে কল্পনাও করতে পারি না। ক্রিকেট না থাকলেও সবসময় ভেঙ্কি মাইসোরের (কেকেআরের সিইও) সঙ্গে যোগাযোগে থাকি, কথাবার্তা বলি। ওঁকে আমি ভীষণ শ্রদ্ধা করি।'



আরও পড়ুন: ছাত্রের খেলা দেখতে শিলিগুড়ি থেকে ইডেনে ঋদ্ধিমানের গুরু