কলকাতা: বৃহস্পতিবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে কার্যত লড়াইই করতে পারেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। মাত্র ১৫০ রান তাড়া করতে নেমে কেকেআরের বিরুদ্ধে ৪১ বল ও নয় উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। এই ম্যাচে পরাজয়ের ফলে কেকেআরের দখলে আপাতত ১২ ম্যাচ শেষে পাঁচটি জয়ের সুবাদে মোট ১০ পয়েন্ট রয়েছে। তবে এখনও কিন্তু অন্তত খাতায় কলমে নাইটদের আইপিএলের (IPL 2023) প্লে-অফে পৌঁছনোর সুযোগ রয়েছে। 


কেকেআর নিজেদের পরের দুই ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংস এবং লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে। প্লে-অফে পৌঁছনোর বিন্দুমাত্র আশাও যদি রাখতে হয়, তাহলে নীতীশ রানার দলকে এই দুই ম্যাচ জিততেই হবে। অবশ্য দুই ম্যাচ জিতলেই কেকেআরের লিগ তালিকায় প্রথম চারে থাকার কোনও নিশ্চয়তা নেই। প্লে-অফে পৌঁছতে হলে নাইটদের অন্যান্য দলের ফলাফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে। আপাতত লিগ তালিকায় এক নম্বরে থাকা গুজরাত টাইটান্স ও চেন্নাই সুপার কিংসের দখলে যথাক্রমে ১৬ ও ১৫ পয়েন্ট রয়েছে। কোনও পরিস্থিতিতেই এই দুই দলের পয়েন্ট সংখ্যাকে স্পর্শ করতে পারবে না। 


কিন্তু প্লে-অফের দৌড়ে থাকা রাজস্থান রয়্যালসের দুই ম্যাচই কেকেআরের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কেকেআর চাইবে রাজস্থান পরের ম্যাচে আরসিবিকে হারিয়ে দিক। রাজস্থানের বিরুদ্ধে হারলে ১০ পয়েন্টে থাকা আরসিবির বাকি দুই ম্যাচ জিতলেও সর্বোচ্চ ১৪ পয়েন্ট হবে। তবে আরসিবির বিরুদ্ধে জিতলেও রাজস্থানকে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে হারতে হবে। সেক্ষেত্রে রাজস্থানের দখলেও ১৪ পয়েন্টই থাকবে। সেক্ষেত্রে নেট রান রেটের বিচারেই রাজস্থান, আরসিবি ও কেকেআরের মধ্যে এক দল প্লে-অফে যেতে পারে। আপাতত তিন দলের মধ্যে নেট রান রেটে রাজস্থানই সবচেয়ে ভাল জায়গায়। তাঁদের নেট রান রেট ০.৬৩৩। অপরদিকে, কেকেআরের নেট রান রেট -০.৩৫৭ ও আরসিবির -০.৩৪৫। নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে বড় জয় কিন্তু কেকেআরের নেট রান রেটের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করবে। 


মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এখনও তিনটি ম্যাচ বাকি রয়েছে মুম্বই তিনটি ম্যাচই হারলে ১২ পয়েন্টে শেষ করবে। মুম্বইয়ের একটি ম্যাচ লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে। নাইটদের প্লে-অফে পৌঁছতে ১১ পয়েন্টে থাকা লখনউয়ের মুম্বইকে হারালেও, বাকি দুই ম্যাচের দুইটিই হারতে হবে। যার মধ্যে নাইটদের ঘরের মাঠেই একটি ম্যাচ রয়েছে। 


পাঞ্জাব কিংসের বাকি তিন ম্যাচের একটি রাজস্থানের বিরুদ্ধে এবং বাকি দুইটিই লিগের লাস্টবয় দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে। দিল্লির জয়ে নাইটদের চিন্তার তেমন কোনও কারণ নেই। কেকেআরের প্লে-অফে পৌঁছতে কিন্তু সানরাইজার্সের সবকয়টি ম্যাচের ফলাফল ভীষণ জরুরি। চার ম্যাচ বাকি রয়েছে সানরাইজার্সের। চারটি ম্যাচই সানরাইজার্স জিতলে তাঁরা নাইটদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে। কিন্তু কেকেআর চাইবে সানরাইজার্স যেন অন্তত দুই ম্যাচে পরাজিত হয়। দিল্লি ক্যাপিটালসও সর্বাধিক ১৪ পয়েন্টে পৌঁছতে পারে। দিল্লি নিজেদের বাকি সব ম্যাচ জিতলেও, কিন্তু সেই নেট রান রেটের মাধ্যমেই প্লে-অফের স্থান দখল করতে হবে নাইটদের।


অঙ্কটি দেখতে যত জটিল, বাস্তব জীবনেও ততটাই কঠিন। সেই কারণেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন কেকেআরের প্লে-অফের আশা আর প্রায় নেই। কিন্তু দিনের শেষে ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। তাই আগে থেকে কিছুই বলা কঠিন। নাইট বাহিনী শেষমেশ প্লে-অফের টিকিট বুক করতে পারে কি না, সেটাই দেখার।


আরও পড়ুন: খুব গরম! এসি ছাড়াই ঠান্ডা থাকবে ঘর, কী করতে হবে?