বেঙ্গালুরু: সকাল দেখে হয়তো সব সময় বোঝা যায় না, দিনটি কেমন যাবে। তা না হলে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে যখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (RCB) প্রথম তিন ব্যাটার ঝড় তুলছেন, চার-ছক্কার বন্যা বইছে, আর আরসিবির স্কোর দুশো পেরিয়ে যাচ্ছে, কেউ কি ঘুণাক্ষরেও আঁচ করেছিলেন সেই ম্যাচও হাতছাড়া হতে পারে ফাফ ডুপ্লেসিদের (Faf DuPlessis)। তাও রান তাড়া করতে নেমে ৪ ওভারে লখনউ সুপার জায়ান্টস ২৩/৩ হয়ে যাওয়ার পরেও!
অসম্ভবকে সম্ভব করলেন নিকোলাস পুরান। ৬ নম্বরে নেমে ১৯ বলে ৬২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে গেলেন। হাফসেঞ্চুরি করলেন মাত্র ১৫ বলে। চলতি আইপিএলে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। অল্পের জন্য রক্ষা পেল কে এল রাহুল ও প্যাট কামিন্সের রেকর্ড। দুজনেরই ১৪ বলে হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে। সেই দুই হাফসেঞ্চুরি আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম।
পুরানের মতোই আগ্রাসী ইনিংস খেললেন মার্কাস স্টোইনিস। ৩০ বলে ৬৫ রান করলেন তিনি। আয়ুষ বাদোনি ২৪ বলে ৩০ রান করেন। একটা সময় ৯ বলে ৭ রান বাকি ছিল লখনউয়ের। তবে সেখান থেকেও ম্যাচের নাটকীয় পটবদল হয়। ওয়েন পার্নেলকে ছক্কা মারলেও হিট উইকেট হয়ে যান বাদোনি।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫ রান। হাতে ছিল ৩ উইকেট। বোলার ছিলেন হর্ষল পটেল। ওভারের প্রথম বলে ১ রান নেন জয়দেব উনাদকট। পরের বলেই মার্ক উড বোল্ড হয়ে যান। তৃতীয় বলে রবি বিষ্ণোই দৌড়ে ২ রান নেন। চতুর্থ বলে সিঙ্গল ছিনিয়ে নেন তিনি। ২ বলে তখন চাই আর ১ রান। কিন্তু পঞ্চম বলে আউট হয়ে যান উনাদকট। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ১ রান। লখনউয়ের হাতে আর মাত্র ১ উইকেট। আবেশ খানকে বল করতে গিয়ে নন স্ট্রাইকিং এন্ডে রবি বিষ্ণোইকে মাঁকড়ীয় আউট করার চেষ্টা করেন হর্ষল। তবে সফল হননি। আম্পায়ার ডেড বল ঘোষণা করেন। শেষ বল আবেশ খান ব্যাটে ঠেকাতে ব্যর্থ হন। কিন্তু উইকেটের পিছনে সঠিকভাবে বল সংগ্রহ করতে পারেননি দীনেশ কার্তিক। দৌড়ে ১ রান নিয়ে নেন আবেশ ও রবি। জয়ের পর উত্তেজনায় মাঠে হেলমেট ছুড়ে দেন আবেশ। ১ উইকেটে ম্যাচ জেতে লখনউ।
রবিবার গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে নাটকীয় শেষ ওভারে ম্যাচ জিতেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সোমবারও ম্যাচের ফয়সালা হল রুদ্ধশ্বাসভাবে।