চেন্নাই: মাঠে কঠিন পরিস্থিতিতে মাথা বরফের মতো ঠান্ডা রাখতে পারেন বলে তাঁকে ক্রিকেট বিশ্ব ক্যাপ্টেন কুল বলে কুর্নিশ করে। সেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (MS Dhoni) আচমকা মেজাজ হারালেন। তিরস্কার করলেন সতীর্থকে। কেন?
গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে তখন রুদ্ধশ্বাস কোয়ালিফায়ার ওয়ান চলছে চেন্নাই সুপার কিংসের। বল করছিলেন তুষার দেশপাণ্ডে। ব্যাটার রশিদ খান ও বিজয় শঙ্কর।। অফসাইডে ফাঁদ পেতেছিলেন ধোনি। বোলারকে নির্দেশ দেওয়াই ছিল যে, অফস্টাম্পের বাইরে বল করতে হবে। কিন্তু তুষার একটি বল করেন মিডল ও লেগস্টাম্পে। তাতেই মেজাজ হারান ধোনি। অফসাইডের দিকে নির্দেশ করে দেখান, সব ফিল্ডার ওইদিকে, বোলার কেন মিডল ও লেগস্টাম্পে বল করছেন? ধমকে কাজ হয়। ফের পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং শুরু করেন।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মগজাস্ত্রেই কি ঘায়েল হল গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্স? কোয়ালিফায়ার ওয়ানে গুজরাত টাইটান্সকে ১৫ রানে চেন্নাই সুপার কিংস হারিয়ে দেওয়ার পর থেকে ক্রমশ জোরাল হচ্ছে ধোনির মগজাস্ত্রের ধার নিয়ে আলোচনা।
বিশেষ করে যেভাবে ক্যাপ্টেন কুল মাথিশা পাথিরানাকে নিয়মের জাঁতাকল এড়িয়ে বল করান, তা দেখে মুগ্ধ অনেকে। ঠিক কী হয়েছিল? গুজরাত টাইটান্স ইনিংসের ১৬তম ওভার। চেন্নাই সুপার কিংসের রান তাড়া করতে নেমে ১৫ ওভারের শেষে তখন গুজরাতের স্কোর ১০২/৬।
ম্যাচ জিততে তখনও ৩০ বলে ৭১ রান চাই গুজরাতের। ক্রিজে বিজয় শঙ্কর ও রশিদ খান। মাথিশা পাথিরানাকে বল করতে ডাকেন ধোনি। কিন্তু বাধা দেন আম্পায়াররা। তার আগেই কিছুক্ষণ মাঠের বাইরে ছিলেন পাথিরানা। নিয়ম অনুযায়ী, একজন ক্রিকেটার যতক্ষণ সময় মাঠের বাইরে ছিলেন, মাঠে ফেরার পর ঠিক ততটা সময় না কাটালে তাঁকে বল করানো যাবে না। সেই নিয়ম ধোনিকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়।
আম্পায়ারদের সঙ্গে আলোচনা করতে শুরু করেন ধোনি। বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, পাথিরানাকে বল করানোটা জরুরি। কেন শ্রীলঙ্কার পেসারকে বল করানো যাবে না, বারবার জানতে চান। খেলা প্রায় মিনিট চারেক বন্ধ থাকে। তারপরই দেখা যায়, যে সময় মাঠের বাইরে ছিলেন পাথিরানা, সেই সময় তিনি মাঠে কাটিয়ে ফেলেছেন। ফলে তাঁর আর বল করতে কোনও বাধা নেই।
পাথিরানাকে বল তুলে দেন ধোনি। পরের ৩ ওভারে ২ উইকেট তুলে নেন শ্রীলঙ্কার পেসার। ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ১৫ রানে ম্যাচ জেতে সিএসকে।