চেন্নাই: এই ম্যাচ চেন্নাই হারবে, তা হয়ত শেষ বলের আগে পর্যন্তও কেউ বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। নইলে তিন রান দরকার, এমন পরিস্থিতিতে নিজের উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে ঠিক ৩ রানই নিয়ে দলকে দুরন্ত জয় এনে দিলেন পাঞ্জাব কিংসের সিকান্দার রাজা। ২০১ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় পাঞ্জাব কিংস।
২০১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে পাঞ্জাব কিংসের শুরুতে ওপেনিংয়ে প্রভসিমরন সিংহ ও শিখর ধবন মিলে পার্টনারশিপ গড়েন। ২৪ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৪টি বাউন্ডারি ও ২টাে ছক্কা হাঁকিয়েছে প্রভসিমরন। পাঞ্জাব অধিনায়ক ১৫ বলে ২৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। লিয়াম লিভিংস্টোন ২৪ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে একটি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ১০ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলেন জিতেশ শর্মা। শেষ ওভারে ৯ রান দরকার ছিল। বােলার ছিলেন বেবি মালিঙ্গা পাথিরানা। ষষ্ঠ বলে ৩ রান করলে জয় পাবে পাঞ্জাব এই পরিস্থিতিতে স্নায়ুর চাপ সামলে রেখে ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় পাঞ্জাব।
প্রথম ম্যাচে গুজরাতের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল দল। এরপর থেকেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আর এখন টুর্নামেন্টের অর্ধেক শেষ হয়ে যাওয়ার পর চেন্নাই সুপার কিংসই খেতাব জয়ের অন্যতম দাবিদার। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে চিপকে ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছে ধোনির দল। আর প্রথমে ব্য়াট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান বোর্ডে তুলে ফেলল তারা। ধবনদের জিততে হলে পাহাড়প্রমাণ ২০১ রান করতে হবে।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ওপেনিংয়ে নেমে এদিন রুতুরাজ ও কনওয়ে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করেছিলেন। দ্রুত পার্টনারশিপে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন এই জুটি। রুতুরাজ ৩১ বলে ৩৭ রান করে ৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে। অন্য়দিকে কনওয়ে আরও একটি অর্ধশতরান হাঁকালেন এবারের টুর্নামেন্টে। ৫২ বলে ৯২ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১৬টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। মিডল অর্ডারে এদিন রাহানেকে না নামিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট শিবম দুবে, মঈন আলি ও রবীন্দ্র জাডেজাকে আগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। দুবে ১৭ বলে ২৮ রান করেন ২টো ছক্কা ও ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে। মঈন ১০ ও জাডেজা ১২ রান করেন। শেষের দিকে এমএসডি নেমেছিলেন কনওয়েকে সঙ্গ দিতে। ২টো ছক্কার সাহায্য়ে ৪ বলে ১৩ রান করেন তিনি।