চেন্নাই: চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়ল গুজরাত টাইটান্সের (CSK vs GT) ব্যাটিং। ১৭৩ রান তাড়া করতে নেমে ১৫৭ রানেই অল আউট হয়ে গেল গুজরাত। ১৫ রানে ম্যাচ জিতল গুজরাত। চিপকের পিচে ১৭৩ রানের লক্ষ্য একেবারেই সহজ ছিল না। কিন্তু ম্যাচে গুজরাতের হয়ে শুভমন গিল (Shubman Gill) এবং রশিদ খান ছাড়া ব্যাট হাতে তেমন কেউ প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারলেন না।
চ্যালেঞ্জিং রান তাড়া করতে নেমে গুজরাতের শুরুটা একেবারেই আশানুরূপ হয়নি। ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ১১ বলে ১২ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। নতুন বল হাতে ফের একবার সিএসকেকে কাঙ্খিত সাফল্য এনে দেন দীপক চাহার। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই নিজের প্রথম ওভারে বল হাতে নিয়েই গুজরাত অধিনায়ক হার্দিককে আট রানে সাজঘরে ফেরত পাঠান মাহিশ থিকসানা। দাসুন শানাকা ও শুভমন গিল গুজরাতের ইনিংসকে কিছুটা স্থিরতা প্রদান করেন বটে। তবে শানাকা দ্রুত গতিতে রান তুলতে ব্যর্থ হন।
গোটা আইপিএল জুড়েই বল হাতে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা (Ravindra Jadeja)। এদিনও ম্যাচের মিডল ওভারে বল হাতে অনবদ্য পারফর্ম করলেন জাডেজা। তিনি প্রথমে শানাকাকে ১৭ রানে ফেরান। তারপর দুরন্ত ফিনিশার ডেভিড মিলারকেও চার রানে সাজঘরে ফেরান জাডেজা। পরের ওভারেই বড় শট খেলতে গিয়ে শুভমনও ক্যাচ দিয়ে বসেন। ৪২ রানে তাঁকে সাজঘরে ফেরান চাহার। রাহুল তেওয়াটিয়া (৩), বিজয় শঙ্কর (১৪), গুজরাতের মিডল অর্ডারের কোনও ব্যাটারই ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারেননি।
শেষের দিকে রশিদ খান ব্যাট হাতে এক আগ্রাসী ইনিংস খেলে গুজরাতকে ম্যাচ জেতানোর মরিয়া চেষ্টা করেন বটে। তবে তিনিও ১৬ বলে ৩০ রানে সাজঘরে ফেরেন। শেষমেশ ১৫৭ রানেই থমকে যায় সিএসকের ইনিংস। চাহার, থিকসানা, মাথিশা পাথিরানা ও রবীন্দ্র জাডেজা উভয়েই দুইটি করে উইকেট নেন। তবে ১৮ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেওয়া জাডেজাই এ ম্যাচে অন্তত পরিসংখ্যানের বিচারে সিএসকের সেরা বোলার। এই ম্যাচে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলায় ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। এই নিয়ে দশমবার আইপিএল ফাইনালে পৌঁছল সিএসকে। তাঁরা নিজেদের পঞ্চম খেতাব জিতে মুম্বইয়ের সর্বাধিক খেতাব জয়ের কৃতিত্বে ভাগ বসাতে পারেন কি না, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন: সকালে ব্রাশ করার আগে কি জল পান করা উচিত ?