আমদাবাদ: গত শতকের সেরা টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন রশিদ খান (Rashid Khan)। শতক বদলালেও বল হাতে তাঁর ম্যাজিক অব্যাহত। এ মরসুমেও ফের একবার বল হাতে আইপিএলের মঞ্চ মাতাচ্ছেন আফগানিস্তানের তারকা স্পিনার রশিদ। মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে অনবদ্য পারফরম্যান্সে দলকে জয় এনে দিয়েই তিনি এ মরসুমে এখনও পর্যন্ত আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক হিসাবে পার্পল ক্যাপ তালিকার (IPL 2023 Purple Cap) শীর্ষে পৌঁছে গেলেন।


শীর্ষে রশিদ


রশিদ খান মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নির্ধারিত চার ওভারে ২৭ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন। এই দুই উইকেটের সুবাদেই তিনি মহম্মদ সিরাজকে পিছনে ফেলে পার্পল ক্যাপ তালিকার শীর্ষে পৌঁছে গেলেন। রশিদ খান এখনও পর্যন্ত এ মরসুমে গুজরাতের হয়ে সাত ম্যাচে ১৪টি উইকেট নিয়েছেন। তিনি ১৬.১৪ গড় ও ৮.০৭-র ইকোনমিতে ১৪টি উইকেট নিয়েছেন। অপরদিকে, সিরাজ সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে রশিদের থেকে এক কম, ১৩টি উইকেট নিয়েছেন। তাঁর বোলিং গড় ১৫.৪৬।


সমসংখ্যক ম্যাচে সমসংখ্যক উইকেট নিলেও অর্শদীপের বোলিং গড় সিরাজের থেকে বেশি, ১৫.৬৯ হওয়ায় বাঁ-হাতি ভারতীয় বোলার তালিকায় তিনে রয়েছেন। একই কারণে যুজবেন্দ্র চাহাল ও তুষার দেশপাণ্ডে, উভয়েই সাত ম্যাচে ১২ উইকেট নিলেও, পার্পল ক্যাপ তালিকায় চার নম্বরে রয়েছেন যুজবেন্দ্র ও পাঁচে তুষার। চাহালের গড় যেখানে ১৮.৮৩, সেখানে দেশপাণ্ডের বোলিং গড় ২৩.১৬। সাত ম্যাচে ২১.২০ গড়ে ১০ উইকেট নেওয়া বরুণ চক্রবর্তীই একমাত্র কেকেআর বোলার যিনি পার্পল ক্যাপ তালিকায় প্রথম দশে রয়েছেন।


ম্যাচের বিবরণ


মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) বিরুদ্ধে গুজরাত টাইটান্স (Gujarat Titans) নিজের আইপিএল ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ ২০৭ রান তুলেছিল গুজরাত। জবাবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় কোনও সময়ই ম্যাচে তেমন লড়াইই করতে পারেনি মুম্বই। শেষমেশ ৫৫ রানে পরাজিত হতে হয় পল্টনদের। গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাতের হয়ে নুর আমেদ (Noor Ahmed) তিনটি ও রশিদ খান দুইটি উইকেট নেন। এই দুই আফগান স্পিনারদের দাপটেই মুম্বই পরাজিত হল।


এদিন শুরুতেই হার্দিক দ্বিতীয় ওভারেই মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে দুই রানে সাজঘরে ফেরান। আরেক মুম্বই ওপেনার ঈশান কিষাণও ২১ বলে ১৩ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। তাঁকে ও তিলক বর্মাকে (২) একই ওভারে সাজঘরে ফেরান তারকা স্পিনার রশিদ। ৫০ রানের আগেই তিন উইকেট হারিয়ে কার্যত ধুঁকছিল মুম্বই। সেই পরিস্থিতি থেকে মুম্বইকে উদ্ধার করার দায়িত্ব নেন সূর্যকুমার যাদব ও ক্যামেরন গ্রিন। কিন্তু ছন্দে দেখানো গ্রিনকে ৩৩ রানে ফেরান নুর আমেদ। একই ওভারে আরেক অজি তারকা টিম ডেভিডও শূন্য রানে আউট হন। সূর্যকুমারকেও ২৩ রানে তিনিই সাজঘরে ফেরান।


সপ্তম উইকেটে পীযূষ চাওলা ও নেহাল ওয়াদেরা ৪৫ রান যোগ করেন বটে। ওয়াদেরা ২১ বলে ৪০ রানের একটি লড়াকু ইনিংস খেলেন। তবে দলের জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। মোহিত শর্মা ওয়াদেরাকে ফেরান মোহিত শর্মা। অর্জুন তেন্ডুলকর ১৩ রান করেন। কিন্তু শেষমেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে নয় উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ১৫২ রানেই থেমে যায় পল্টনদের ইনিংস। ৫৫ রানের বিরাট ব্যবধানে জয় পায় গুজরাত।


আরও পড়ুন: ধোনি, কার্তিকদের বিশেষ তালিকায় নাম লেখালেন ঋদ্ধি, পেলেন স্মারকও