বেঙ্গালুরু: কে বলবে যে এই মানুষটাই গত বছরের আগে চাপে চাপে জর্জরিত হয়ে গিয়েছিল। ব্যাট থেকে রানই আসছিল না তাঁর। একটা আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি পেতে তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল প্রায় আড়াই বছরের ওপরে। রবিবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিরাট কোহলির ব্যাটিং বিক্রম দেখে সূদূর অস্ট্রেলিয়ায় বসে কামিন্স, স্টার্কদেরও কিন্তু কপালে ঘাম জমতে বাধ্য। বোলারদের শাসন করা কাকে বলে, এদিন আরও একবার তা দেখিয়ে দিলেন কিংগ কোহলি। চলতি টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাঁকালেন। তাও আবার পরপর ২ ম্যাচে টানা। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পর এবার গুজরাত টাইটান্স। মূলত তাঁর ব্য়াটিং তাণ্ডবেই ১৯৭ রান বোর্ডে তুলে নিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন গুজরাত টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। বৃষ্টির জন্য টস ও খেলা একটু দেরিতে শুরু হয় এদিন। তাই সুবিধে নিতে চেয়েছিলেন হার্দিক। কিন্তু শুরু থেকেই ঝড়ের গতিতে রান তোলার শুরু করেন আরসিবির ২ ওপেনার বিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসি। পাওয়ার প্লে তে ৬ ওভারে ষাটের ওপর রান তুলে নেয় আরসিবি। তবে ১৯ বলে ৫ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৮ রান করে নূর আহমেদের বলে আউট হয়ে ফিরে যান ডু প্লেসি। ম্যাক্সওয়েলও মাত্র ১১ রান করে রশিদের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ১ রান করে ফেরেন লোমহর। তবে ব্রেসওয়েলকে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ড সচল রাখেন বিরাট কোহলি। দ্রুত রান তুলতে থাকেন তিনি। দীনেশ কার্তিক খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
তবে বিরাট কোহলিকে আটকাতে পারেননি গুজরাতের বোলাররা। যেখানে সানরাইজার্স ম্য়াচ শেষ করেছিলেন। সেখান থেকেই এদিন খেলা শুরু করেছিলেন মনে হয়। চলতি আইপএলে দ্বিতীয় ও আইপিএলের ইতিহাসে সপ্তমবার সেঞ্চুরি হাঁকালেন বিরাট। নিজের ইনিংসে ১৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান কোহলি।
মুম্বইয়ের জয়
রবিবারের প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ২০১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে এদিন শুরুতেই ঈশান কিষাণের উইকেট হারায় মুম্বই শিবির। ১২ বলে ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ঈশান কিষাণ। তবে চলতি টুর্নামেন্টে অফফর্মে থাকা রোহিত শর্মা এদিন রান পেলেন। এদিন অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন রোহিত শর্মা। ৩৭ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন হিটম্যান। নিজের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। এরপর সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন গ্রিন।