নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে (Narendra Modi) উদ্বোধন হতে চলেছে নয়া সংসদভবনের (New Parliament Building)। তার বিরোধিতায় এ বার সরব হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে নয়া  সংসদভবন উদ্বোধনের দাবি তুললেন তিনি। আগামী ২৮ মে মোদির হাতে নয়া সংসদভবন উদ্বোধনের কথা রয়েছে। তার আগে এর বিরোধিতায় সরব হলেন রাহুল। 


রবিবার ট্যুইটারে এ নিয়ে সরব হন রাহুল। লেখেন, 'নয়া সংসদভবনের উদ্বোধন হওয়া উচিত রাষ্ট্রপতির হাতে, প্রধানমন্ত্রীর হাতে নয়'। এর আগে, বৃহস্পতিবারই লোকসভা সেক্রেট্যারিয়টের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নয়া সংসদভবন উদ্বোধনের কথা জানানো হয়। বলা হয়, 'না সংসদভবনের নির্মাণ শেষ। নয়া ভবনটি আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক'। ২৮ মে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন বলেও জানা যায়।



তবে রাহুলই প্রথম নন, প্রধানমন্ত্রীর হাতে সংসদভবনের উদ্বোধনে আগেই আপত্তি তুলতে দেখা গিয়েছে বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতাকে। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা মনোজ কুমার ঝা আগেই এতে আপত্তি জানান। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, 'সম্মানীয়া রাষ্ট্রপতির হাতে কি নয়া সংসদভবনের উদ্বোধন হওয়া উচিত নয়? আমি শুধু এইটুকুই বলব...জয় হিন্দ'।



CPI নেতা ডি রাজাও এ নিয়ে মোদিকে নিশানা করেন। তাঁর কথায়, 'মোদিজির ক্ষেত্রে নিজেকে নিয়ে ঘোরে থাকা, ক্য়ামেরার প্রতি ভালবাসা শালীনতার এবং নিয়মকানুনের ঊর্ধ্বে চলে যায়। রাষ্ট্রের নির্বাহী অঙ্গ সংসদে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। আর সংসদভবন হল আইনসভার অঙ্গ। দেশের সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে এর উদ্বোধনই কাম্য'। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: রাজ্যের উপর কেন্দ্রীয় খবরদারি, ’২৪-এর আগে বিরোধী জোট নিয়ে হতে পারে কথা, মমতাসাক্ষাতে আসছেন কেজরিওয়াল


অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসের কথায়, '(নরেন্দ্র মোদি)উনি কার্যনির্বাহী প্রধান, আইনি প্রধান নন। ক্ষমতার বিভাজন রয়েছে আমাদের। লোকসভা এবং রাজ্যসভার সম্মানীয় প্রধানের হাতেই নয়া সংসদভবনের উদ্বোধন কাম্য। জনগণের টাকায় তৈরি হয়েছে নয়া সংসদভবন। নিজের বন্ধুদের ব্যক্তিগত অর্থসাহায্যে সেটি তৈরি হয়েছে বলে কেন আচরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী'?


এখানে উল্লেখ্য, যে ২৮ মে দিনটি নয়া সংসদভবন উদ্বোধনের জন্য নির্ধারিত হয়েছে, সেই দিনটি আবার হিন্দুত্ববাদী নেতা বিনায়ক দামোদর সাভরকরের জন্মবার্ষিকীও (Vinayak Damodar Savarkar)। তাই ওই দিন নয়া সংসদভবনের উদ্বোধন রেখে কেন্দ্রের মোদি সরকার আসলে দেশ গঠনের নেপথ্য়ে থাকা সংগ্রামী মানুষদের অপমান করছে বলেও অভিযোগ উঠছে কংগ্রেসের তরফে। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সাফ লেখেন, 'দেশ গঠনের নেপথ্যে থাকা আমাদের বাবা-মায়েদের অপমান করা হচ্ছে। গাঁধী, নেহরু, পটেল, বসু সকলের আত্মবলিদানকে অগ্রাহ্য করছে। প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে অম্বেডকরকে'।