কলকাতা: রোজ রোজ তো আর অলৌকিক কিছু হয় না। কিন্তু রিঙ্কু সিংহ স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন আগের ম্যাচে। সেই স্বপ্ন দেখতে আরও একবার চেয়েছিল ইডেনের জনতা। তাই তো পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে যখন ম্যাচ প্রায় হাতের নাগালের বাইরে, ঠিক তখনও ইডেনে চিৎকার। ২২ গজে তখনও তরুণ রিঙ্কু। এদিনও অর্ধশতরান করলেন। কিন্তু পারলেন না এদিন দলকে জেতাতে। আগের ম্যাচে শেষ ওভারে শেষ ৫ বলে পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। এদিন শেষ ওভারে দরকার ছিল ৩২ রান। রিঙ্কু পারলেন না এদিন তরী পার করতে। ২২৯ রান তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানই বোর্ডে তুলতে পারল কেকেআর। 


রান তাড়া করতে নেমে খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রহমনউল্লাহ গুরবাজ। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ১০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। নারায়ণ জগদীশান এদিন ওপেনে নেমে চালিয়ে খেলছিলেন। ২১ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। নিজের ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। সুনীল নারাইনও খাতা খোলার আগেই ফিরে যান। তবে নীতিশ রানা ও রিঙ্কু সিংহ জুটি কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিলেন ইডেনের ৬০ হাজার সমর্থককে। ৪১ বলে ৭৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন রানা। নিজের ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা হাঁকান তিনি। অন্যদিকে রিঙ্কু তাঁর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এদিনও অর্ধশতরান হাঁকালেন। ৩১ বলে ৫৮ রান করেন তিনি। ৪টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কার ইনিংস খেলেন তিনি। 


ম্য়াচের পর কেকেআর অধিনায়ক রানা বলেন, ''আমাদের বোলিং একদমই পরিকল্পনামাফিক হয়নি। আর যাই হোক এই উইকেট কখনওই ২৩০ রানের নয়। আমরা ভাল ব্যাট করেছি। তবে প্রতিদিন রিঙ্কু খেলে দেবে এমনটা ভাবা কখনওই উচিত নয়। আজ আমাদের প্রধান বোলাররাও রান খরচ করেছে প্রচুর। কিন্তু আমি তাঁদের পাশে থাকতে চাই সবসময়। কারণ আমি জানি যে এই বোলাররাই আমাকে ম্যাচ জিতিয়ে দেবে অন্যদিন। আমাদের পরের ম্যাচে ফোকাস করতে হবে। যেভাবে আমরা লড়াই করেছি, তাতে আমি খুশি। তবে ২টো পয়েন্ট পেলে আরও খুশি হতাম।''


রাসেল কি চোটিল? রানা অবশ্য আশ্বস্ত করলেন। তিনি বলেন, ''কলকাতার গরমে একটু অসুবিধে হয় প্লেয়ারদের। রাসেলের ক্র্যাম্প হয়েছিল। তেমন কোনও সিরিয়াস ইস্যু নয়।'' এরপর টানা ২টো অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে কলকাতা শিবির। আগামী ১৬ তারিখ মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ও ২০ তারিখ দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে কেকেআর।