কলকাতা : ডাক্তাররা সবসময় বাসি খাবার খেতে নিষেধ করেন। কিন্তু, বাসি ভাত সম্পর্কে মানুষের ধারণা একটু ভিন্ন। ভারতের অনেক জায়গায় মানুষ জল দিয়ে বাসি ভাত খায়। এটা একটা রীতি। কেউ কেউ এটাকে স্বাস্থ্যের জন্য ভাল ভেবে খান। বাসি ভাত স্বাস্থ্যের জন্য সত্যিই খুবই উপকারী।
জেনে নেওয়া যাক বাসি ভাত খাওয়ার উপকারিতা-
বাসি ভাত খেলে আলসার রোগের অনেক উপশম হয়। আলসারে আক্রান্ত হলে প্রথমে মাটির পাত্রে জল ভরে তারপর তাতে বাসি ভাত রাখুন। রাতারাতি এতে রাসায়নিক বিক্রিয়া হবে। যার পরে ফার্মেন্টেশন হবে। সপ্তাহে ২-৩ বার এভাবে বাসি ভাত খান। আলসারের মতো মারাত্মক রোগে পাবেন দারুন উপশম।
বাসি ভাতে ঠান্ডা প্রভাব রয়েছে। গরমে প্রতিদিন বাসি ভাত খেলে শরীরের তাপমাত্রা সবসময় নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর সাথে আপনার পেটও ঠান্ডা থাকবে। গরমের সময় শরীর ও পেট দুটোই খুব গরম হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন বাসি ভাত পেট ঠান্ডা রাখতে কাজ করে।
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তারা অবশ্যই বাসি ভাত খান। এতে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মিটে যাবে। প্রতিদিন এক কাপ করে বাসি ভাত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা চিরতরে চলে যায়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি দিনে কয়েকবার চা বা কফি পান করেন, তাহলে বাসি ভাত খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটা খুবই উপকারী। সকালে বাসি ভাত খেলে চা-কফির নেশাও চলে যায়।
বাসি ভাত খেলে পেট পরিষ্কারের পাশাপাশি ত্বকও উজ্জ্বল হয়। এতে পাওয়া পুষ্টিগুণ আপনার শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে।
প্রসঙ্গত, ভারতে তো বটেই, গোটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশে মূল খাদ্য ভাত। আরও স্পষ্ট করে বললে সাদা ভাত। সঙ্গে তরকারি-মাছ বা মাংস যাই থাকুক না কেন ভাত ছাড়া সবই অচল। সাদা ভাতের চল এখনও রয়েছে, কিন্তু তার মাঝেই বেশ কয়েক বছর ধরেই খুব বেশি করে শোনা যাচ্ছে হোল গ্রেইন। চল বাড়ছে ব্রাউন রাইসেরও। বলা হয়ে থাকে, অন্য় চালের থেকে ব্রাউন রাইস (Brown Rice) অনেকটাই কম প্রক্রিয়াকরণ হয়ে থাকে। ফলে তুলনায় অনেকটাই বেশি পুষ্টি মেলে এই ধরনের চাল থেকে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।